Advertisment

Dhakeshwari Temple: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মানবাধিকারের বুলি আউড়ালেন ইউনুস, ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে দিলেন না আশ্বাস

Professor Muhammad Yunus: বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার থেকে ঋণের প্রত্যাশা রাখছেন মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু উৎপীড়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় তিনি বেশ চাপে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Dhaka's Dhakeshwari National Temple-Professor Muhammad Yunus, ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির, অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস,

Dhaka's Dhakeshwari National Temple-Professor Muhammad Yunus: ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস। (ছবি- টুইটার)

Yunus says after visiting Dhakeshwari temple: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে বাংলাদেশের মাইনরিটি রাইটস মুভমেন্টের ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কথা বললেন হিন্দু-সহ বাংলাদেশের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে। সেখানে সংখ্যালঘুরা মহম্মদ ইউনুসের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেন।

Advertisment

মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুদের তরফে পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, সর্বজনীন পুজো কমিটির সভাপতি জয়ন্তকুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপসচন্দ্র পাল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য কাজল দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্রকুমার নাথও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পুজো কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মন্দির পরিচালনা পর্ষদের কর্তা ও ভক্তদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। মহম্মদ ইউনুস বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে কাউকে দেখা উচিত নয়। সবাইকেই মানুষ হিসেবে দেখা উচিত। আর, সেই জন্যই মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে।' বলে তিনি জানান। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুরা মহম্মদ ইউনুসের কাছে তাঁদের দাবি পেশ করেন।

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে। সেসব নিয়ে গত কয়েকদিনে গোটা দেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন হিন্দুরা। তারপরই মহম্মদ ইউনুস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন। বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ দিন কয়েক আগে জানিয়েছে, দেশের ৫২ জেলায় ২০৫টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ধর্মস্থান, ঘরবাড়ি লুঠ হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে লোকজনকে।

এই ব্যাপারে মহম্মদ ইউনুস মঙ্গলবার বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বলেছেন, 'অধিকার সকলের জন্যই সমান। কোনও ভেদাভেদ করবেন না। দয়া করে, আমাদের সাহায্য করুন। ধৈর্য্য ধরুন। আমরা ব্যর্থ হলে সমালোচনা করবেন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার আছে। সেই অধিকার আপনাদের নিশ্চিত করা হবে।' বাংলাদেশের ধর্ম দফতর জানিয়েছে, ধর্মীয় স্থানে হামলা হলে ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। এই নম্বরে এসএমএস করেও অভিযোগ জানানো যাবে। তবে, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও সাম্প্রতিক হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের কোনওরকম ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মহম্মদ ইউনুস দেননি।

এর আগে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে সর্বজনীন পুজো উদযাপন কমিটির পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জামায়াতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের কোনও জায়গায় জামায়াতে ইসলামি বা ছাত্র সংগঠনের কেউ যদি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মত অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সে-ও একজন দুর্বৃত্ত। কথা দিচ্ছি আমরা কোনও দুর্বৃত্তকেই প্রশয় দেব না।'

আরও পড়ুন- আচমকা ক্ষুদ্রঋণের জন্ম দিলেন কেন? পিছনে বিরাট গল্প, ইউনুসের কাহিনি শুনলে অবাক হবেন

পালটা, পুজো উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্তকুমার রায় বলেছেন, 'যখনই সরকার বদলায়, কেন আমাদের ওপর অত্যাচার হয়? এই ছাত্র-জনতার মধ্যে কি আমাদের হিন্দু ভাই-বোনরা মরে নাই? আমাদের কোনও অবদান নেই? তারপরও মন্দির পুড়ছে কেন? আমাদের ব্যবসা লুঠপাট হচ্ছে কেন? আমাদের মহিলাদের ইজ্জত যাচ্ছে কেন? সবাই বলে জামায়াতে ইসলামিই নাকি করাচ্ছে।'

Hindu Bangladesh Muhammad Yunus Violence
Advertisment