Advertisment

শাসকের পকেটে ৯৬ শতাংশ ভোট এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট

বহু জায়গায় প্রার্থী নিজেও ভোট দিতে পারেননি। চট্টগ্রামে বাম জোটের গণসংহতি আন্দোলনের একজন প্রার্থী নিজের ভোটটিও পাননি! তাঁর প্রাপ্ত ভোট শূন্য!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মাল্যদান করছেন শেখ হাসিনা (ছবি- ফেসবুক)

বিরোধীদলের প্রধান নেত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। তাঁর ছেলে তথা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। গ্রেফতারি এড়াতে তিনি লন্ডনে থাকেন, দেশে ফেরেন না। বিগত জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি-সহ বিরোধী দলগুলি। ফলে সংসদ বিরোধীশূন্য। রাজপথেও গত পাঁচ বছরে কোনও কার্যকরী আন্দোলন করতে পারেননি বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু যে অস্বাভাবিক মার্জিনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন মহাজোট তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তা কার্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।

Advertisment

জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বে অষ্টম স্থানে থাকা বাংলাদেশের ইতিহাসে অবশ্য নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এই পর্যায়ে বেনিয়ম এর আগে কখনও হয়নি বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। আর্ন্তজাতিক মহলের একাংশ সেই দাবির সঙ্গে সহমত। সংবাদমাধ্যম, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের আশঙ্কা, গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি এই নির্বাচনের ফলাফল যে বিপুল সংশয়ের জন্ম দল, তা আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংসদ বর্হিভূত নানা অনভিপ্রেত বাঁকবদলের সম্ভাবনাকে উস্কে দিতে পারে।

আরও পড়ুন: দুই তরফের মৌলবাদ ও বাংলাদেশের নির্বাচন

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাত্র দু'বছর পর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বড় মাত্রায় বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ওই নির্বাচনের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে। ১৯৭৫ সালে খুন হন শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার ক্ষমতার হাতবদল, অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা, সেনার শাসন, এরশাদের স্বৈরাচার দেখেছে বাংলাদেশ। ঘটনাচক্রে, স্বাধীনতাপ্রাপ্তির প্রধান কারিগর আওয়ামী লীগকে ১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট আসনসংখ্যা ৩০০। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফল এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে নির্বাচন কমিশন এবং বেসরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ৯৬ শতাংশ আসন দখল করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে ২৫৫টি আসনে, এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। বিরোধীদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা মাত্র সাত! বিএনপি পাঁচটি এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরিক, শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রীসভার আইনমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সংবিধানের রূপকার ডক্টর কামাল হোসেনের দল গণফোরাম পেয়েছে দু'টি আসন।

বিরোধীদের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। তিনি দু'টি কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন। নিজের খাসতালুক ঠাকুরগাঁওতে পরাজিত হলেও খালেদা জিয়ার আসন বগুরায় জিতেছেন। খালেদার অনুপস্থিতিতে মির্জা ফখরুলই নির্বাচনী কালপর্বে বিএনপির প্রধান নেতা হিসাবে সামনে এসেছেন। তিনি ছাড়া বিরোধী জোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রত্যেকেই বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা তথা স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার আ স ম আব্দুর রব, বীরউত্তম কাদের সিদ্দিকির মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকি, আশির দশকের বিখ্যাত বামপন্থী ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্নারা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের টিকিটে জিতেছেন ক্রিকেট তারকা মাশরফি বিন মোর্তাজা। শাসকজোটের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর কেন্দ্রের ফলাফল আওয়ামী লীগকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। হাসিনা পেয়েছেন মোট ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৩৯টি ভোট। তাঁর নিকটতম বিরোধী প্রার্থী বিএনপির এস এম জিলানির প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা মাত্র ১২৩! তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী পেয়েছেন ৭১টি ভোট। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রায় শতাধিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এমন অস্বাভাবিক ব্যবধানেই জয়ী হয়েছেন। মোট ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি তাঁদের ঝুলিতে গিয়েছে। খুলনার একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, মোট ভোটারসংখ্যার চেয়ে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার বেশি ভোট পড়েছে!

বিরোধীদের অভিযোগ, অধিকাংশ আসনে আগের রাতেই ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাতেই নৌকা প্রতীকে ছাপ মেরে এক তৃতীয়াংশ ব্যালট বাক্সে ভরে ফেলা হয়। সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ওই কেন্দ্রগুলিতে ছ'টা থেকেই বুথ দখল হয়ে যায়। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক বাম জোটের অভিযোগ, অধিকাংশ কেন্দ্রেই তাঁদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি।

বহু জায়গায় প্রার্থী নিজেও ভোট দিতে পারেন নি। চট্টগ্রামে বাম জোটের গণসংহতি আন্দোলনের একজন প্রার্থী নিজের ভোটটিও পাননি! তাঁর প্রাপ্ত ভোট শূন্য! সোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় তারকা তথা নির্দল ভোটপ্রার্থী হিরো আলম মার খেয়েছেন। আরেক নির্দল প্রার্থী তথা শাহবাগ আন্দোলনের নেতা ইমরাম এইচ সরকার জামানত খুইয়েছেন। অভিযোগ, সর্বত্র আওয়ামী লীগের কর্মীদের সামনে ব্যালটে ছাপ দিতে বাধ্য হয়েছেন ভোটারেরা। বিরোধী ভোটারদের বুথকেন্দ্রের বাইরে থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাগামছাড়া বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিকেলে নির্বাচন ও ফলাফল বর্জন করে দুই বিরোধী জোট। তবে দুপুরেের আগেই বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু বিরোধী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান।

বিরোধীদের সমস্যা অবশ্য ফলাফল প্রকাশের পরও অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনে বেনিয়মের প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল সহ বিএনপির জয়ী প্রার্থীরা সাংসদ হিসাবে শপথ না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে শরিক গণফোরামের জয়ী দুই প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁরা শপথ নিতে যাবেন। এই মতপার্থক্যকে কেন্দ্র করে ঐক্যফ্রন্টে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। সোমবার ফ্রন্টের বৈঠকের পর বিএনপি ও গণফোরামের কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। ইতিমধ্যেই কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুলকে নিয়ে বিবিধ আলোচনা শুরু হয়েছে বিএনপি ও ফ্রন্টের অন্দরে।

দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে দাবি করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপির বিশ দলীয় জোট। এ'বারও গয়েশ্বর রায়-সহ শীর্ষনেতাদের একাংশ খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে 'সাজানো' নির্বাচন বয়কট করার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু ফখরুল যুক্তি দেন, ভোটে না লড়লে দলের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকিদের নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন হয় মূলত তাঁর উদ্যোগে। বিএনপির অন্দরে গুঞ্জন, কামাল ও ফখরুল নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহন করিয়ে আওয়ামী লীগের সাজানো নির্বাচনকে বৈধতা দিতে সাহায্য করলেন।

সূত্রের খবর, নির্বাচনে ভরাডুবির পরও দ্রুত রাজপথে বড় কর্মসূচি নিতে চাইছেন না ফখরুল সহ বিএনপি নেতাদের একাংশ। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন বাতিল করে ফের নতুন নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই দাবি মেনে নেওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তারপরও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা কোনও বড় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেননি। পরিবর্তে আইনি পথে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। বিএনপির একাংশ এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় স্তরের এক নেতা বলেন, "গোটা দেশে একদলীয় স্বৈরাচার কায়েম হয়েছে। এখনই আন্দোলনে না গেলে বিএনপি কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। আমার আশঙ্কা, আগামী পাঁচ বছরে আমাদের অবস্থা জাসদের মতো হতে পারে।" প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই আওয়ামী লীগের একঝাঁক তরুণ নেতা দল ভেঙে তৈরি করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ। সত্তরের দশকে জাসদের অপ্রতিহত উত্থানের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। শেখ মুজিবের আমলে জাসদই ছিল প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর থেকেই দ্রুত শক্তিক্ষয় হয় জাসদের। এখন তারা কার্যত গুরুত্বহীন।

এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের অবসানের পর পালা করে বাংলাদেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। বিএনপি-আওয়ামী লীগের দ্বিদলীয় বৃত্তে আটকে ছিল সংসদীয় রাজনীতি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই নির্বাচন কার্যত দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করল। বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কথায়, "শেখ হাসিনার গত এক দশকের শাসনে দেশে একধরণের উন্নয়নের কাজ হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, অনেক রাস্তা, সেতু, তৈরি হয়েছে। জিডিপির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের কথা বলছেন। কিন্তু একইসঙ্গে দেশজুড়ে কার্যত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার কায়েম করা হয়েছে। বিরোধীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই জামাত বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো জার্নালিস্ট শহীদুল আলমও ছাড় পাননি। সাড়ে তিন মাস জেল খেটেছেন। এই প্রহসনের নির্বাচন চলমান স্বৈরাচারের ধারাবাহিকতাই রক্ষা করল।" তাঁর আশঙ্কা, "দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোটি ভেঙে গিয়েছে। এরশাদের মডেলে দেশ শাসন করছেন হাসিনা। কিন্তু শাসকের বিরোধিতা তো থাকবেই। সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকার ফলে ষড়যন্ত্র বা অভ্যূত্থানের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা বাড়বে।"

এবারের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধীরা বারবার দলীয় সরকারের পরিবর্তে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা মানা হয়নি। ইতিহাস বলছে, এর আগে যতবার দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবার ক্ষমতায় এসেছে শাসকদলই। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এই প্রসঙ্গে ১৯৯৬ সালের জোড়া নির্বাচনের কথা বলছেন অনেকে। ওই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি পরিচালিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন খালেদা জিয়া। কিন্তু সরকার টেকেনি। নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ওই বছরের ১২ জুন ফের নির্বাচন হয়। এবার ভরাডুবি হয় বিএনপির। ২০০১ এবং ২০০৮ সালেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে শাসকদল হেরেছে।

বাংলাদেশের এক বামপন্থী ছাত্রনেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেল না। কিন্তু এতে তারা রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংকটে পড়লে তা শাসকদলের জন্যই সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ক্যু বা অভ্যুত্থানের দিকে যেতে পারে। এদেশে আগেও এমন হয়েছে। যে সেনাবাহিনী এখন হাসিনার পক্ষে অবস্থান করছে, পরবর্তীকালে সেই অবস্থান পরিবর্তিত হলে তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা সরকারের থাকবে না।"

Sheikh Hasina Bangladesh
Advertisment