Advertisment

অক্সফোর্ডে ঠাঁই: জাতে উঠল 'চাড্ডি'

অনেক নেটিজেন এটাও বলে থাকেন 'চাড্ডি' শব্দটা যে কোন রকম গোঁড়ামির জন্যই প্রযোজ্য। অতএব কট্টর সৌরভ গাঙ্গুলি ভক্তকে 'দাদা চাড্ডি' বলাই যায়, অথবা কট্টর সৃজিত মুখার্জি ভক্তকে 'সৃজিত চাড্ডি'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Oxfrod Dictionary Chuddies

'চাড্ডি' কথাটার ব্যবহার কেবলই আরএসএস-বিজেপি সমর্থকদের জন্য প্রযোজ্য তা নয়, যদিও এটা তাঁদের উদ্দেশ্য করেই সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

নেটিজেনরা হেসে কূল পাচ্ছেন না! অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি অবশেষে, এই ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ, অন্য আরও অনেক শব্দের সাথে ‘চাড্ডি’ (ডিকশনারিতে উঠেছে বহুবচন, অর্থাৎ 'চাড্ডিজ' বা 'chuddies') শব্দটাও প্রশাসনিক ভাবে ডিকশনারির অন্তর্ভুক্ত করেছে - এই খবর পাওয়ার পর থেকেই তাঁদের হাসি থামছেনা।
অতি সাধারণ এই হিন্দি শব্দটি, যার অর্থ 'অন্তর্বাস', তা খোদ অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে উঠে এল কেমন করে? আসলে গত বছর অক্সফোর্ড ডিকশনারির ৯০তম বার্ষিকীতে ডিকশনারির তরফ থেকে 'ওয়ার্ডস ওয়েয়ার ইউ আর' (#wordswhereyouare) বলে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে বিশ্বজুড়ে পাঠকদের কাছে অনুরোধ করা হয় আরও বেশি করে আঞ্চলিক শব্দ পাঠাতে। ডিকশনারির ভাষা যাতে সারা পৃথিবীর ইংরেজিভাষী মানুষের কথ্য ভাষাকে ধরতে পারে, ইংরেজি ভাষার আন্তর্জাতিকতা ও বহুমুখিতার প্রতিফলন হয়ে উঠতে পারে, সেই কারণেই এই উদ্যোগ। অতএব ডিকশনারির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ওয়েলসের 'জিবন্স'-এর মতন শব্দ, যার অর্থ 'পেঁয়াজকলি', অথবা 'ডফ'-এর মতন আফ্রিকান্স ভাষার শব্দ, যার অর্থ 'মূর্খ, অশিক্ষিত, বা বোকা'।

Advertisment

আরও পড়ুন, গবেষণায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা: ঈশানকোণে সিঁদুরে মেঘ

একটি ব্লগ পোস্টে জনাথন ডেন্ট, অক্সফোর্ড ডিকশনারির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বলেছেন যে 'চাড্ডিজ' শব্দটা তাঁরা পেয়েছেন 'কিস মাই চাড্ডিজ' ('kiss my chuddies') বলে একটি বহুপ্রচলিত তাচ্ছিল্যসূচক উক্তি থেকে। নয়ের দশকের জনপ্রিয় বিবিসি শো 'গুডনেস গ্রেসিয়াস মি'তে সঞ্জীব ভাস্কর এই উক্তিটি ব্যবহার করা শুরু করেন। সেখানে ভাস্করের চরিত্রটি দা ভাঙরা মাফিন্স বলে একটি র‍্যাপ গায়কদ্বয়ের অংশ ছিল, এবং তার কথায়-গানে মাঝে মাঝেই 'কিস মাই চাড্ডিজ' কথাটি শোনা যেত। চূড়ান্ত জনপ্রিয় এই কমেডি সিরিজটি অভিবাসী উত্তর ভারতীয় সম্প্রদায়ের হিন্দি-পাঞ্জাবিমিশ্রিত মুখের ভাষা সে সময়ে রেডিও ও তারপরে টিভির পর্দায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল। এই সিরিজের মূল স্রষ্টা-অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন মীরা সিয়াল, যিনি ১৯৯৩ সালের সফল ছবি 'ভাজি অন দা বীচ' লিখে প্রথম খ্যাতি লাভ করেন (ছবিটির নির্দেশক ছিলেন গুরিন্দর চাড্ডা - এঁকে অনেক ভারতীয় দর্শক 'বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম' ও 'ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিসের' সূত্রে চিনবেন)। ব্রিটিশ এশিয়ানদের নিজস্ব কথ্য ভাষাকে নব্বই দশকের 'মাল্টিকালচারাল' ব্রিটেনের মূলধারার স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করেছিল এই সিরিজ।

খবর পেয়ে মস্করা করতে ছাড়েননি সঞ্জীব ভাস্করও। একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, এরপরে মহারানির কাছ থেকে স্বীকৃতি হিসেবে কমান্ডার অফ দা মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দা ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) খেতাব অন্তত তিনি আশা করতেই পারেন। সবাইকে তিনি এটাও মনে করে দিয়েছেন যে স্ক্র্যাবল খেলার সময় তাঁরা যেন এটা মনে রাখেন যে 'চাড্ডিজ' শব্দটিতে একটা নয়, দুটো ডি রয়েছে।


ইংরেজি ভাষা অবশ্য চিরকালই শব্দ ধার করায় পারদর্শী, যাকে কিনা ভাষাবিদরা বলেন 'লোন ওয়ার্ডের' ব্যবহার। একাদশ শতাব্দীতে নর্ম্যান্ডির উইলিয়াম দা কংকারারের হাতে পরাজয়ের পর থেকে (ইতিহাসে এই অধ্যায়কে নর্ম্যান কনকোয়েস্ট অফ ব্রিটেন বলা হয়ে থাকে) ইংরেজি ভাষায় যেমন ফরাসি ও ল্যাটিন শব্দের রমরমা, ঠিক সেইরকম ভাবেই অষ্টাদশ-উনিশ শতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের পরে যোগ হয় নানা উপনিবেশ থেকে ধার করা বহু শব্দ। ১৭৭৬ সালে 'জাঙ্গল', ১৭৮৭ সালে 'ব্যাঙ্গল', ১৮১৮ সালে 'যোগা', ১৮৬৩ সালে 'খাকি' - এরকম অসংখ্য ভারতীয় ভাষার শব্দ ইংরেজি ভাষার অংশ হয়ে ওঠে। ১৮৭২ সালে দুই ইংরেজ, কর্নেল হেনরি ইউল এবং আর্থার বার্নেল, তাঁদের সমসাময়িক ভারতীয় ইংরেজির ফর্দ তৈরি করতে গিয়ে রীতিমত একটি ডিকশনারিই প্রস্তুত করে ফেলেন, যার নাম তাঁরা দেন 'হব্‌সন-জব্‌সন' (পুরো পোশাকি নাম, Hobson-Jobson: A glossary of colloquial Anglo-Indian words and phrases, and of kindred terms etymological, historical, geographical and discursive)। ভারতীয় ভাষায় ছন্দ মিলিয়ে শব্দ ব্যবহার করবার যে অতি পরিচিত প্রবণতা আছে (যেমন, 'বই-টই' বা 'খাওয়া-দাওয়া'), সেই প্রবণতার কথা মাথায় রেখেই ডিকশনারির এ হেন নাম।
'হব্‌সন-জব্‌সন' কথাটিরও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তাঁরা - সেটা আসলে মহরমের মিছিলে 'হা হাসান! হা হোসেন!' বিলাপের ইংরেজ অপভ্রংশ! লেখকরা বলছেন, মেজর জন ট্রটারের মুখে তাঁরা শুনেছেন যে পাঞ্জাবে ইংরেজ সৈন্যরা মাঝে মাঝেই এই কথাটির ব্যবহার করতো, সেই থেকেই তাঁদের ডিকশনারির এই নাম। বার্নেল যদিও তাঁদের ডিকশনারির প্রকাশ দেখে যেতে পারেননি - কলেরা ও নিউমোনিয়ার দ্বৈত আক্রমণে তিনি ৪২ বছর বয়সে মারা যান - কিন্তু 'হব্‌সন-জব্‌সন' ১৮৮৬ সালে প্রকাশ হওয়ার পরে আর কখনো ছাপা বন্ধ হয়নি, বরং ২০১৩ সালেও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস নতুন করে মুদ্রণ করে বইটিকে।
'হব্‌সন-জব্‌সন' তো শুধু শব্দকোষ নয়, ভারতবর্ষের বহুভাষী সংস্কৃতির সাথে ইংরেজ উপনিবেশবাদের সম্মুখীন হওয়ার এক জীবন্ত দলিল। 'Kedgeree’ নামক কিম্ভুত শব্দটি যে আসলে 'খিচুড়ি', বা 'মসলিন' শব্দের উৎপত্তি যে ইরাকের মসূল (যা অধুনা আইসিস-মুক্ত হওয়ার জন্য খবরের কাগজের পাতায় এসেছে) শহর থেকে, তা বার্নেল আর ইউলের ডিকশনারির পাতা থেকে আমরা জানতে পারি। আবার 'হব্‌সন-জব্‌সনের' পাতা থেকেই আমরা জানতে পারি যে 'I don’t give a damn’ কথার ‘damn’ আসলে 'dam’, যা আবার ‘damri’ বা 'dumree’-র অপভ্রংশ। মোগল আমলের এক ধরনের তামার পয়সা ছিল এই 'দাম', তবে বার্নেল আর ইউল উনিশ শতকের ভারতে এর ব্যবহার কেবল হিসেবের খাতাতেই দেখেছেন, তাও একেক জায়গায় একেক রকম। বাংলায় যেমন 'দাম' বলতে 'আনার' ১/২০ শতাংশ, অর্থাৎ টাকার ১/৩২০ শতাংশ বোঝাতো। এই সামান্য অঙ্কের হিসেব থেকেই আসছে 'I don’t give a dam’। লেখকরা খুব জোরের সঙ্গে লিখছেন, 'dam’ কথাটি যদিও বা অশিষ্ট 'কার্স' হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে, তার বুৎপত্তি নেহাতই নিরীহ,

...this leads to the suggestion that a like expression, often heard from coarse talkers in England as well as in India, originated in the latter country, and that whatever profanity there may be in the animus, there is none in the etymology, when such an one blurts out “I don’t care a dām!” i.e. in other words, “I don’t care a brass farthing!”
'আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম' থেকে 'কিস মাই চাড্ডিজ', ঔপনিবেশিক আমল থেকে উপনিবেশ-উত্তর আজকের জগত, ইংরেজি ভাষার সাথে ভারতীয় ভাষা ও ভাষা ব্যবহারের সংযোগ এবং আদান-প্রদান এখনো অব্যাহত!
'চাড্ডিজ' কথাটি এ দেশের নেটিজেনদের হাস্যরসের উপাদান যোগান দেওয়ার অবশ্য আরেকটি কারণ আছে, আর সেই কারণটি পুরোপুরি রাজনৈতিক। ইন্টারনেটের জগতে স্ল্যাংয়ের ব্যবহার নিজস্ব গতিতে এগোয়, এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা নেটিজেন ছাড়া অন্যান্যদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। গত চার-পাঁচ বছরে 'চাড্ডি' শব্দটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয় আরএসএস-বিজেপি বিরোধীদের মুখে মুখে, আরএসএস-বিজেপি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি তাচ্ছিল্যসূচক শব্দ হিসেবে। এ ক্ষেত্রে 'চাড্ডি' কথাটির সূত্র রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিখ্যাত খাকি হাফ প্যান্ট। যদিও সংঘের খাকি হাফ প্যান্ট কোনভাবেই অন্তর্বাসের সাথে তুলনীয় নয়, তবুও এই ধরণের স্ল্যাংয়ের জগতে যুক্তির থেকে তাচ্ছিল্যসূচক হাস্যরসে বেশি জোর দেওয়া হয় বলে শব্দটির জনপ্রিয়তা আজও সমান। স্ল্যাং জগতের সেই নিজস্ব যুক্তিতেই আবার 'বামপন্থী' তাই হয়ে যায় 'ভামপ্যান্টি', 'কংগ্রেসি' হয়ে যায় 'খানগ্রেসি', 'কমরেড' হয়ে যায় 'কম-রেট', ইত্যাদি। কট্টর ইসলামপন্থীদের জন্য বাংলাদেশে প্রচলিত একটি শব্দ, 'ছাগু' (ও তাঁদের জন্য নির্ধারিত কাঁঠালপাতা টেস্ট, সংক্ষেপে কেপি টেস্ট), এখন এপার বাংলার অন্তর্জাল জগতেও বেশ জনপ্রিয়। 'চাড্ডি' শব্দের এই ব্যবহার অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে এখনও পাওয়া না গেলেও ইন্টারনেট-প্রচলিত আর্বান ডিকশনারিতে ২০১১ সালেই শব্দটির এই অর্থের স্থান হয়।
'চাড্ডি' শব্দটির এই ব্যবহার এতটাই জনপ্রিয় যে ২০১৬ সালে যখন সংঘের নেতৃত্ব তাঁদের পরিচিত খাকি হাফ প্যান্টকে অবসর দিয়ে ইউনিফর্ম হিসেবে বাদামি ফুল প্যান্টের প্রচলন করেন, তখন বিরোধীদের মুখে মুখে শোনা যায়, 'চাড্ডি নেহি, সোচ বদলো', টুইটারে চলতে থাকে #chaddinahisochbadlo হ্যাশট্যাগ! অতএব অক্সফোর্ড ডিকশনারির এই সাম্প্রতিক ঘোষণার পর থেকে তাঁদের একাংশের মধ্যে আবারও হাসির রোল উঠবে, এ আর আশ্চর্য কী! একটি মিম ঘুরতে থাকে যেখানে বলা হয়, "অক্সফোর্ড ডিকশনারি আরএসএস-বিজেপির অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে চাড্ডিজ শব্দটা ডিকশনারির অংশভুক্ত করেছে। আরএসএস-বিজেপি সমর্থকদের ভারতবর্ষে চাড্ডি সম্বোধন করা হয়। শোনা যায় তাঁরা ইংরেজদের সাথে অন্তর্বাসের ন্যায় ঘনিষ্ঠ ছিলেন।"     

এ কথা অবশ্য উল্লেখযোগ্য যে 'চাড্ডি' কথাটার ব্যবহার কেবলই আরএসএস-বিজেপি সমর্থকদের জন্য প্রযোজ্য তা নয়, যদিও এটা তাঁদের উদ্দেশ্য করেই সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেক নেটিজেন এ হেন অনুযোগও করে থাকেন যে অতি উৎসাহীরা বিরোধী মত শুনলেই তর্কের জোয়ারে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে তাঁদের 'চাড্ডি' বলে দাগিয়ে দিয়ে থাকেন, এবং সেই দাগিয়ে দেওয়ার পর আর কোন তর্ক হওয়া সম্ভব হয়না। অনেকে এ প্রশ্নও তুলেছেন যে 'চাড্ডি', 'বামাতি' ('বাম' ও 'জামাতির' সন্ধি, সাধারণত বামপন্থীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়ে থাকে) বা 'পিডি' (রাহুল গান্ধির পোষা কুকুরের নাম, সাধারণত কংগ্রেস সমর্থকদের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে) জাতীয় শব্দের ব্যবহারে শুরু থেকেই অপর পক্ষকে মনুষ্যেতর জীব হিসেবে যেহেতু দেখা হয়, তখন আর আদৌ আলোচনা বা আপোষ সম্ভব কি? ভারতবর্ষের বিভাজিত জনপরিসরে হয়তো সত্যিই এটা একটা জরুরি প্রশ্ন।

অনেক নেটিজেন এটাও বলে থাকেন 'চাড্ডি' শব্দটা যে কোন রকম গোঁড়ামির জন্যই প্রযোজ্য। অতএব কট্টর সৌরভ গাঙ্গুলি ভক্তকে 'দাদা চাড্ডি' বলাই যায়, অথবা কট্টর সৃজিত মুখার্জি ভক্তকে 'সৃজিত চাড্ডি'। এ ছাড়াও 'চাড্ডি' শব্দের সাথে বিশেষণ হিসেবে কখনো কখনো জোটে রাজনৈতিক পরিচয়, অর্থাৎ 'তিনুচাড্ডি' (বা 'চিনু') বা 'বামচাড্ডি', সাথে তার নিজস্ব ব্যাখ্যা। জনৈক 'বামচাড্ডি' গোঁড়া বামপন্থীও হতে পারেন, আবার বাম সমর্থক হয়েও আরএসএস-বিজেপি মতবাদে বিশ্বাসী হতে পারেন - পুরোটাই নির্ভর করছে ব্যবহারে। এখানে 'চাড্ডি' কথাটা কোন বিশেষ রাজনৈতিক রং নয়, 'চাড্ডি' অচলায়তনের প্রতীক - সমাজের যে কোন অংশেই তাকে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
'কিস মাই চাড্ডিজ' উক্তিটি অক্সফোর্ড ডিকশনারি অন্তর্ভূত হওয়ার সময় অতিসাধারণ 'চাড্ডি' শব্দের ভারতীয় নেট জগতে এ হেন বিস্তার ও বহুমুখীতা হয়তো ডিকশনারির ভাষাবিদেরা ভেবে দেখেননি, তবে ডিকশনারিতে ওঠার অপেক্ষায় মানুষের কথ্য ভাষা কবেই বা বসে থেকেছে? হয়তো কোনদিন অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও শেষমেশ এই ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যাবে, আর ততদিনে হয়তো প্রচলিত ব্যবহারে শব্দটির আরও নানা রকম মানে হয়ে দাঁড়াবে!

(লেখক ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত)

Advertisment