তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেশে ঢুকতে দিত না আমেরিকা। গুজরাতের দাঙ্গায় তাঁর ভুমিকায় সন্দিহান ছিল হোয়াইট হাউস। ২০১৩ সালে রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মোদী গুজরাতদাঙ্গায় তাঁর মনোবেদনার উদাহরণ দিয়েছিলেন গাড়ি-চাপা-পড়া কুকুরের সঙ্গে। বলেছিলেন, ‘কেউ চলন্ত গাড়ির পিছনের সিটে বসে-থাকা অবস্থায় যদি গাড়িচাপা পড়ে কোনও কুকুরছানার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই যাত্রীর কাছে কি তা বেদনাদায়ক নয়? অবশ্যই তা দুঃখজনক। সে তিনি সাধারণ মানুষ হোন বা মুখ্যমন্ত্রী।’ মোদীর চূড়ান্ত অসংবেদনশীলতায় স্তম্ভিত হয়েছিল দুনিয়া।
পাশাপাশি দিল্লির শিখদাঙ্গা নিয়ে ২০০৫ সালে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছিলেন, ‘শিখসম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে আমার একটুও দ্বিধা নেই। কেবল শিখদের কাছে নয়, সারা দেশের কাছেই আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কেননা, ১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় জাতীয়তাবাদের ভাবনাটি অগ্রাহ্য করা হয়েছিল। সরকার ও দেশবাসীর পক্ষে আমি শিখদের কাছে লজ্জায় মাথা নত করছি।’ দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধীও। রাহুল গান্ধী টেলিভিশন-সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস-সভাপতির ভাবাবেগ মান্য করি। ১৯৮৪ সালে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু এক ভয়ংকর ঘটনা। ওইরকম আর যেন না-ঘটে।’
আরও পড়ুন, রাফাল ও বিএসএনএল মোদীমুদ্রার দুই-পিঠ
গুজরাতদাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীপদে ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেবল দাঙ্গা রুখতে তাঁর সার্বিক ব্যর্থতাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। মুসলিম-অধ্যুষিত গুলবর্গা সোসাইটি আবাসন আক্রান্ত হওয়ার পরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরি মুখ্যমন্ত্রী থেকে পুলিশপ্রধানকে ফোন করেও কোনও ফল পাননি। ৬৯ মুসলিম অধিবাসীর সঙ্গে আগুনে পুড়ে মরতে হয়েছিল তাঁকে। দাঙ্গার সময় প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের উপদেশ দিলেও, মোদী তা কানেই তোলেননি। কেবল তো মোদীই নন, গুজরাতদাঙ্গার প্রধানতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিজেপি-সভাপতি অমিত শাহ, দোষীসাব্যস্ত হয়ে জেলে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মায়া কোদনানি। তারপরেও, এখন, দীর্ঘ ৩৪-বছর পরে, নিম্ন-আদালত শিখদাঙ্গায় দু-জনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেওয়ায় বিজেপি উল্লসিত। তারা বরাবরই শিখদাঙ্গা দিয়ে গুজরাতদাঙ্গার মান্যতা দিতে চেয়েছে। কিন্তু, আদালতের রায়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছে কংগ্রেসও। মনমোহনের ক্ষমাপ্রার্থনা বা কংগ্রেসের সন্তোষপ্রকাশ তাদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা হলেও, বিজেপি কখনওই গুজরাতদাঙ্গায় অনুরূপ বাধ্যবাধকতার ধার ধারেননি। তারা বরং অমিত শাহকে অভিযোগমুক্ত ও মায়া কোদনানিকে জেলমুক্ত করে গুজরাতদাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর কুকুরের গাড়িচাপা পড়ার উদাহরণেই স্থির থেকেছে।
১৯৮৪ সালে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সতবন্ত সিং ও বলবন্ত সিং প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই ইন্দিরা গান্ধীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করার অব্যবহিত পরেই দিল্লি ও পঞ্জাবে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল শিখ-গণহত্যার আগুন। ইন্দিরার খুনিদের উপর প্রতিশোধ নিতেই ইন্দিরা-ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে দাঙ্গাবাজরা নিজেদের দেশাত্মবোধের পরিচয় দিতে চেয়েছিল। অভিযোগ, দিল্লিতে দাঙ্গায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ কমলনাথ, সজ্জনকুমার, শ্রমিকনেতা ললিত মাকেন, তথ্যসম্প্রচারমন্ত্রী এইচ কে এল ভগত। অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহ করেছিলেন তাঁরা। কংগ্রেসপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তিনদিন ধরে রাজধানীতে ওই নারকীয়তা চালিয়েছিল। তা ছড়িয়ে পড়েছিল অন্যান্য রাজ্যেও। আগে যেমন ১৯৪৬ সালে কলকাতা-নোয়াখালিতে, তেমনই পরে ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরে ও ও ২০০২ সালে গুজরাতে হিন্দুরা দাঙ্গাকারী হিসাবে তাদের ‘সাফল্য’ প্রমাণ করেছে। কলকাতা ও নোয়াখালিতে মুসলমানরা প্রত্যাঘাত করলেও, দিল্লিতে শিখদের বা গুজরাতে মুসলমানদের একতরফা কচুকাটা করেছিল হিন্দুরাই। ফলে, দেশের ওইদুটি হত্যালীলা স্বভাবতই গণহত্যা রূপেই চিহ্নিত হয়েছে ইতিহাসে। যে-পৈশাচিকতার রক্তদাগ কোনওদিনই মুছবে না দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের হাত থেকে। বিজেপি যেমন সিটের মাধ্যমে দাঙ্গার সত্য ধামাচাপা দিয়েছে, কংগ্রেসও শিখদাঙ্গার মামলাগুলিকে হিমঘরেই পাঠিয়েছিল। এখন সেই মামলা থেকে ফায়দা তুলতে সচেষ্ট হবেই বিজেপি।
দাঙ্গার চিরকালই কোনও অনুঘটক থাকে। ছেচল্লিশে যেমন ছিল জিন্নাহ বা সোহরাওয়ার্দির ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম’-এর বিভ্রান্তিমূলক ডাক, চুরাশিতে ইন্দিরাহত্যা, ঊননব্বইতে তেমনই বিজেপি-র পরিকল্পিত হিন্দুহত্যার গুজব বা ২০০২ সালে গোধরা-হত্যাকাণ্ড। ভাগলপুরে মুসলিমনিধনের স্মৃতি এখন আমাদের কাছে অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছে। কিন্তু, ভুললে চলে না, সেই দাঙ্গা চলেছিল প্রায় দু-মাস। রামশিলা সংগ্রহের শোভাযাত্রা থেকে সুকৌশলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, মহরমের মিছিলে গন্ডগোলের জেরে মুসলমানরা দুশো হিন্দুছাত্রকে হত্যা করেছে। সেই গুজব থেকেই শুরু হয়ে যায় নির্বিচার মুসলিমহত্যা। বিজেপি তখন দেশে রামমন্দিরের জিগির তুলেছে। দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিহারেও চলছিল রামশিলা সংগ্রহের অভিযান। রামমন্দিরের মাধ্যমে সার্বিকভাবে দেশে মুসলমানবিরোধী হাওয়া তোলার, ভোটারদের মেরুকরণের লক্ষ্যে ওই দাঙ্গার পরিকল্পনা ছিল অব্যর্থ। কিন্তু, নিঃসন্দেহে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের প্রশাসনিক অপদার্থতা ও দলের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই সেই দাঙ্গা অতদিন চলতে পেরেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহর নিষ্ক্রিয়তায় পুলিশও হিন্দু-দাঙ্গাকারীদের মদত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর দাঙ্গাবিধ্বস্ত অঞ্চলে সফরের পরে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে। সরকারিভাবে দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা ১০৭০ হলেও, বেসরকারিভাবে তা অনেক বেশি।
ভাগলপুরের দাঙ্গা ছিল বিজেপি-র হিন্দুত্ববাদী পরিকল্পনার সলতে পাকানো মাত্র। সেই দাঙ্গাই তিন-বছর পরে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বাবরি মসজিদের চূড়া। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর যোশী, উমা ভারতীর মতো বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই ধুলোয় লুটিয়েছে দেশের সম্প্রীতির ঐতিহ্য। সেই হিন্দুত্ববাদী পরিকল্পনাই পরে সৃষ্টি করেছে গোধরার অনুঘটক। অথচ, করসেবকবোঝাই সবরমতী এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট কামরাটি যে অগ্নিসংযোগের সময় ভিতর থেকে বন্ধ ছিল, তা গোপন থাকেনি তদন্তে। দাঙ্গার সলতে পাকানোর জন্য অমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রয়োজন ছিল বিজেপি ও আরএসএসের।
চুরাশির শিখগণহত্যাও নৃশংসতার বিচারে কিছু কম ছিল না। কিন্তু, তা যে সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রয়াস নয়, তা বোঝা যায়। কেননা, সাধারণভাবে শিখহত্যায় কংগ্রেসের কোনও আশু রাজনৈতিক লাভ ছিল না। ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনাভিযান চালিয়ে ভিনদ্রেনওয়ালকে হত্যা করালেও, তিনি যে ব্যক্তিগতভাবে সাম্প্রদায়িক ছিলেন, এমন অভিযোগ কখনও তোলেনি বিরোধীরাও। মনে রাখা ভাল, জঙ্গিরা ১৬৫ জন হিন্দু ও নিরঙ্কারি ও ৩৯ জন শিখকে হত্যা করেছিল। ভিনদ্রেনওয়ালকে স্বর্ণমন্দিরে ঠাঁই দিয়েছিলেন অকালি দলের সভাপতি হরচাঁদ সিংহ লাঙ্গোয়াল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি আন্দোলন দমন করা ছিল ইন্দিরার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়। সেই অভিযান শিখ-ভাবাবেগকে আহত করবে কি না, তাতে পঞ্জাবে কংগ্রেসের ভোটবাক্সে ধস নামবে কি না, তা স্বভাবতই তাঁর বিচার্য ছিল না। তখনও দেশের রাজনীতি অতটা তলানিতে নামেনি। সবচেয়ে বড়কথা, স্বর্ণমন্দিরে সেনাভিযান ও ভিনদ্রেনওয়ালের মৃত্যুর পরে ইন্দিরার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উপদেষ্টারা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবলয় থেকে শিখকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী হলেও, তিনি সেই মত মেনে নেননি। ঠিকই, সেই উদারতা ও বিশ্বাসের মূল্য তাঁকে চোকাতে হয়েছে মৃত্যুতে। ইতিহাস যেমন জরুরি অবস্থার জন্য ইন্দিরাকে কোনওদিন ক্ষমা করবে না, তেমনই তিনি যে ব্যক্তি বা দলনেত্রী হিসাবে নিজেকে জাতিঘৃণার ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পেরেছেন, তা-ও মনে রাখবে।
কিন্তু, ইন্দিরার মৃত্যুর পরেই তা মনে রাখেননি কংগ্রেসের কিছু শিকড়হীন নেতা। জনভিত্তিহীন, মেরুদণ্ডবিহীন ওইসব নেতা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গুন্ডাবাহিনীকে নামিয়ে দিয়েছিলেন শিখদের নিধনযজ্ঞে। তাঁরা নিশ্চিতভাবেই ওই গণহত্যা ও লুঠতরাজের মাধ্যমে নিজেদের আনুগত্যের ‘প্রমাণ’ দিতে চেয়েছিলেন হাইকমান্ডের কাছে। কিন্তু, রাজীব গান্ধীর কাছে যে তাঁরা সে-জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন, তা নয়। কমলনাথ, সজ্জন কুমার, বিজয় মাকেনকে কংগ্রেস এখনও দলের কেন্দ্র থেকে দূরেই রেখেছে। গান্ধী-পরিবার দু-জন প্রধানমন্ত্রীকে বেঘোরে হারালেও, সোনিয়া গান্ধীও যে সাধারণভাবে শিখ বা তামিলদের প্রতি বিন্দুমাত্র বিদ্বেষ পুষে রাখেননি মনে, তা বোঝা গেছে মনমোহন সিংয়ের মতো কৃতী শিখকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিয়ে নিজে অন্তরালে চলে যাওয়া বা রাজীবঘাতকদের প্রতি ক্ষমার মনোভাবে।
গত-সপ্তাহে শিখদাঙ্গায় দু-জনের চূড়ান্ত শাস্তি হওয়ায় বিজেপি ও অকালি দল উল্লসিত। কিন্তু, কংগ্রেসের রাজনৈতিক চাল যখন আদালতের সেই রায়ে সন্তোষপ্রকাশ করে, তখন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহর দাঙ্গামুখটি যেমন আরও বেশি প্রকট হয়ে ওঠে জনমানসে, তেমনই অকালিদলের জঙ্গিযোগও উঁকি দেয় মানুষের স্মৃতিতে। কেননা, কংগ্রেসের সজ্জন, ললিত বা ভগত শিখদাঙ্গার মুখ হলেও তাঁরা কখনওই দলের প্রথম সারির নেতা নন। বিশেষত, শিখদাঙ্গার দায় দল কখনও অস্বীকার করতে না-পারলেও, অনেক আগেই যেখানে কংগ্রেসের শিখ-প্রধানমন্ত্রী শিখদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, সেখানে আদালতের রায়ে দাঙ্গাপ্রিয় মুসলমানবিদ্বেষী বিজেপি ও কট্টরপন্থী জোটসঙ্গী অকালি দলের উল্লাসের কোনও সারব্ত্তা থাকে না। রবিশংকর প্রসাদের সাংবাদিক বৈঠক বা অরুণ জেটলির টুইটও যে আত্মরক্ষার ব্যর্থ প্রয়াস, তা স্পষ্ট। কেননা, একটি দাঙ্গা দিয়ে অন্য দাঙ্গার মান্যতাদানের কৌশল মানুষ ধরে ফেলেছে। বিশেষত, গুলবার্গ সোসাইটির মামলাটি যখন এখনও দল ও প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বিদ্ধ করছে।
গুলবার্গ সোসাইটি মামলায় গুজরাতের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ও নিম্ন-আদালত নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সিটের রিপোর্টে বলা হয়, দাঙ্গা রুখতে যথোচিত পদক্ষেপ করেছিলেন মোদী। ২০১২ সালে ওই রিপোর্ট মেনে নেয় গুজরাত হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিরা। হাইকোর্ট তাঁর আদালতে আসার বিলম্বের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটি খারিজ করে দেয়। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর হাইকোর্টের রায় পুনর্বিচারের জন্য তিনি সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। গত-সপ্তাহে তাঁর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
গুজরাত হাইকোর্ট জাকিরা জাফরিকে মামলায় বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করেছিল। লক্ষণীয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার শিখদাঙ্গার চাপা-পড়া মামলাগুলি নতুন করে চালু করেছে ২০১৫ সালে, সিট গঠন করেছে।মাঝখানে কেটে গেছে তিনটি দশক। অশীতিপর জাকিরার বিলম্বের কারণে সাধারণভাবে কোনও রহস্য না-থাকলেও, বিজেপি যে ভোটের দিকে লক্ষ রেখেই শিখদাঙ্গার মামলাগুলি ফের সচল করেছে, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।