অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে ধমক খেয়েও আবারও কথা বলল আমেরিকা, নরম হল জার্মানির অবস্থান!
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথমে জার্মানি এবং তারপর আমেরিকা মন্তব্য করেছে। এর পরে, ভারত উভয় দেশের কূটনীতিকদের ডেকে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মন্তব্যে আপত্তি জানায়। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘আমেরিকা ভারতের একাধিক বিরোধী দলের নেতাকে গ্রেফতার এবং মামলায় নেওয়া পদক্ষেপের সুষ্ঠু তদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে’। এবার আমেরিকা সেদেশের কূটনীতিককে তলব করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলেছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সুষ্ঠু তদন্তের সমর্থনের উপর 'কারুর কোন আপত্তি থাকা উচিত" নয়। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, "আমরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি সহ এই সমস্ত পদক্ষেপগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।" উল্লেখ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দিল্লির আবগারি নীতিতে কথিত কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলায় ২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে।
এর পরই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, 'আমেরিকা চায় যাতে স্বচ্ছ ভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'আমরা কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পর্কেও অবগত'। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ভোটের আগে 'আয়কর বিভাগের নেওয়া পদক্ষেপ' ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে।
গত সপ্তাহে, সনিয়া গান্ধী সহ সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা একটি প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে মাত্র ১৪ লক্ষ টাকার বকেয়া কর মামলায় দলের ২৮৫ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
ভারতে মার্কিন কূটনীতিক গ্লরিয়া বার্বেনাকে তলব করা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ম্যাথিউ মিলার বলেন, "আমি কোন ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে আমি আগে যা বলেছি, এখনও তাই বলছি। সুষ্ট, অবাধ এবং স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার পক্ষে আমেরিকা। এতে কারুরই কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়।"
ভারতের বিদেশমন্ত্রক বুধবার আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশন গ্লোরিয়া বার্বেনাকে তলব করেছে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের বিষয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।