Advertisment

কোভিডের মৃদু উপসর্গ? বাড়িতেই নিভৃতে থাকুন, কী বলছেন চিকিৎসকরা

ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৫ দিনের মধ্যে শরীরে সংক্রণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা ১০ থেকে ১২ দিন পরও হতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Corona Transmission in Aerosol Medium, Covid-19, Aerosol, Central Committee

কোভিডের মৃদু উপসর্গ নিয়ে বহু মানুষ বাড়িতেই কোয়ারান্টিন থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মূলত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৫ দিনের মধ্যে শরীরে সংক্রণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা ১০ থেকে ১২ দিন পরও হতে পারে। তাই অনেক চিকিৎসক উপসর্গ লক্ষ্যনীয় হলেই কোয়ারান্টিন হতে পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি পরীক্ষার ফল পজিটিভ এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এখন চাহিদার চাপে কোভিড রিপোর্ট আসতে অনেকটাই দেরী হয়ে যাচ্ছে।

Advertisment

কারা বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে পারেন?

যাঁদের কোভিডের মৃদু বা সামান্য বেশি উপসর্গ রয়েছে, তাঁরা বাড়িতেই আলাদা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তবে দেখাশোনার জন্য অন্য একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের উপস্থিতি এবং নিয়মিত নজরদারি থাকা আবশ্যিক। অনলাইন বা টেলি কনফারেন্সে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে সর্বক্ষণ।

কতদিন নিভৃতাবাসে থাকা প্রয়োজন

সাধারণত উপসর্গ দেখা দিলে তার ১৪ দিন পর থেকে রোগীকে সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়। আগে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় ফের আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ এলে কোয়ারান্টিন থেকে বেরনোর উপদেশ দিতেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এতটাই নাজেহাল সকলে, যে আরটি-পিসিআর টেস্টের চাহিদে অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই উপসর্গ দেখা না গেলে দ্বিতীয় পরীক্ষাটি করতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা।

তা হলে এখন কী করণীয়? যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁরা রিপোর্ট পাওয়ার ১০ দিন পর ঘর থেকে বেরোতে পারেন। এই সংক্রমণের এক অন্যতম উপসর্গ জ্বর। যদি কোনও ওষুধ ছাড়া টানা ৩ দিন জ্বর না থাকে, তা হলেও ধরে নিতে পারেন, আপনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪ দিন পর শরীরে ভাইরাস মরে যায়, তাই ১৪ দিনের পর নিভৃতবাস থেকে বেরনো যেতেই পারে। তবে যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাঁদের আরও বাড়তি কিছুদিন আলাদা থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। সাধারণত, ১৭ দিনের পর থেকে ঘর থেকে বেরনো এবং ঘরের অন্য কাজ করা সম্ভব বলে ধরা নেওয়া হয়। কমবেশি উপসর্গ ধরার দিন থেকে মোট ২১ দিন বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাড়ির অন্যেরা কতটা নিরাপদ

উপসর্গ মিলিয়ে যাওয়ার পর শরীরে ভাইরাল লোড অনেকটাই কমে যায় এবং অন্যকে সংক্রমিত করার সম্ভবনায়ও প্রায় থাকে না বলা যেতে পারে। চিকিৎসকেরা সাবধানী হয়ে আরও দিন সাতেক মাস্ক পরা এবং নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

কেয়ার-গিভারের কী করণীয়

যিনি সারাক্ষণ রোগীর দেখাশোনা করছেন, তাঁর ও সংক্রমিত হওয়ার এবং বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকেও ওই ক’দিন বাকিদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। এবং রোগীর নাক-মুখ বাঁচিয়ে তাঁর সেবা করতে হবে। রোগীকে স্পর্শ করলে ডবল মাস্ক এবং গ্লাভস আবশ্যিক। বাইরে এসে গ্লাভস ফেলে হাত ধুয়ে তবে মাস্ক খুলতে হবে। দরকারে দু’জোড়া মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে। একটা ধুয়ে দিয়ে অন্যটা ব্যবহারে কমে সংক্রমণ শঙ্কা।  

Home Quarantine
Advertisment