শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাইক। কান পাতা দায়। এহেন দৃশ্যের সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি সকলেই পরিচিত। এবার এমন বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আসরে মুম্বই পুলিশ। শহর জুড়ে ১০০টির বেশি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেগুলির সাইলেন্সর পরিবর্তিত করে উচ্চ শব্দযুক্ত সাইলেন্সর লাগানো হয়েছিল। যে বাইকগুলি আটক করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে বেশির ভাগ রয়্যাল এনফিল্ড বা পালসার। এই ধরণের উচ্চ শব্দযুক্ত সাইলেন্সর শব্দদূষনের সৃষ্ট করে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই মর্মে একাধিক বার শহরের নানা স্থান থেকে অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। অভিযোগ পেয়ে এই ধরণের বাইকের বিরুদ্ধে কড়া অভিযানে নামে পুলিশ। মুম্বই পুলিশের ডিসিপি ট্রাফিক রাজ তিলক রোশন জানিয়েছেন, ‘এদিন এই ধরনের মডিফাই বাইকের বিরুদ্ধে আমরা অভিযানে নামি, ১০০টির বেশি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোটর যানবাহন আইনের ১৯৮ নং ধারায় বাইকগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং আরোহীদের জরিমানাও করা হয়েছে’। তিনি আরও জানান, ‘আটক করা বাইক গুলি তখনই ফেরত দেওয়া হবে যখন বাইকের মালিকরা আসল সাইলেন্সর এনে সেগুলি লাগাবেন। উচ্চ শব্দযুক্ত সাইলেন্সরগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে’। শব্দ দূষণ প্রবীণ নাগরিক, রোগী এবং শিশুদের অনেক অসুবিধার কারণ হয়। আমরা বাইক চালকদের এই ধরণের নকল উচ্চ শব্দযুক্ত সাইলেন্সর না লাগানোর অনুরোধ করেছি’।
সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে এই ধরণের বিকট আওয়াজ সৃষ্টি কারী বাইক ধরতে বিশেষ অভিযানের নির্দেশ দেন, মুম্বই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক, রাজবর্ধন সিনহা। তাঁর বিশেষ নির্দেশের পরই বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ধরণের বাইক ধরতে একটি বিশেষ টিম গঠন করে যার নেতৃত্বে ছিলেন মুম্বই পুলিশের ডিসিপি ট্রাফিক রাজ তিলক রোশন। এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে এই ধরনের বাইক ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। আটক করা হয় ১০০টির বেশি বাইক। মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আগামীদিনে এই ধরনের অভিযান চলবে।