শনিবার সকালে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই ১ হাজারের বেশি রুশ সৈন্য নিহত হয়েছেন। যদিও রাশিয়ার তরফে এখনও হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। এদিকে রাষ্ট্র সংঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইউক্রেনের ওপর ক্রমাগত আক্রমণের ফলে ২৫ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা শ’খানেক পার করেছে। ইউক্রেন আরও দাবি করেছে যে তারা কমপক্ষে ৮০টি ট্যাঙ্ক, ৫১৬টি সাঁজোয়া যুদ্ধযান, ১০টি যুদ্ধ বিমান এবং ২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া পাল্টা দাবি করেছে তাদের হামলায় কমপক্ষে ইউক্রেনের ২১১টি সেনা ঘাটি ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিবৃতি অনুসারে রাশিয়ান সৈন্যরা রাজধানী কিয়েভের একটি সামরিক ঘাটিতে অভিযান চালায় এবং তা প্রতিহত করা হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দাবি করে "কিভের ভিক্টোরি অ্যাভিনিউতে একটি সামরিক ইউনিটে আক্রমণ করেছে রাশিয়ান সেনা। আক্রমণটি প্রতিহত করা হয়েছে",।
আরো পড়ুন: ‘আগে থেকে যোগাযোগ ছাড়া ইউক্রেন সীমান্তে যাবেন না’, নোটিশ জারি ভারতীয় দূতাবাসের
এদিকে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফের এক দফায় উদ্ধারকাজ শুরু আজ থেকেই। আজই রোমানিয়া ও হাঙ্গেরিতে নামবে উদ্ধারকারী ভারতীয় বিমান। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হবে ভারতীয়দের। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে এখনও বহু ভারতীয় আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। গত কয়েকদিন ধরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আটকে পড়া প্রত্যেককে ইউক্রেনের পশ্চিম দিকের সীমান্তগুলির কাছে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই হাঙ্গেরি ও রেমানিয়ায় নামবে ভারতের বিমান। সেখান থকেই উদ্ধার করে আনা হবে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের।
সূত্রের খবর অনুসারে শনিবার সকালে রাশিয়ান সেনারা পুলিশের ছদ্মবেশে একটি চেকপয়েন্টে হামলা চালায় ইউক্রেনের সৈন্যবাহিনীর ওপর। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই যুদ্ধের ফলে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ দেশ ছাড়া হতে পারে এবং জ্বালানী, নগদ ও চিকিৎসা সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতি পড়বে।