ভিড়ের চাপ ঠেকাতে ২ দিনের জন্য ৪ ধাম যাত্রার অফলাইন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করল সরকার। এদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ৫ দিনেই চারধাম যাত্রায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জন পুণ্যার্থীর। বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ চারধাম যাত্রার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৫৯ হাজারের বেশি পুণ্যার্থী পৌঁছেছেন যমুনোত্রী, কেদারনাথ গিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ পুণ্যার্থী। বদ্রীনাথে গিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ভক্ত। এছাড়া গঙ্গোত্রী যাত্রা করেছেন প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্প লাইন নম্বরও।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল চার ধামের অন্যতম ধাম যমুনোত্রীর দরজা। এর পরই শনিবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায় যেখানে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ আটকে রয়েছেন সরু পাহাড়ি রাস্তায়। ব্যাপক ভিড়ের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় শোরগোল
এদিকে গত পাঁচ দিনে উত্তরাখণ্ডে চারধামে ১১ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যুর পর সতর্ক প্রশাসন। উত্তরাখণ্ড সরকার ৫০ বছরের বেশি বয়সী ভক্তদের মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গড়ওয়াল কমিশনার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সচিব বিনয় শঙ্কর পান্ডে বলেছেন ,“আমাদের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনে চারধাম তীর্থযাত্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এখন, যারা চারধাম তীর্থযাত্রার জন্য আসছেন তাদের হেলথ স্ক্রীনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং তাদের স্বাস্থ্যের ইতিহাসের সমস্ত বিবরণ দিতে হবে”। তিনি আরও যোগ করেছেন, "তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সরকারের অগ্রাধিকার। ভক্তদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। তীর্থযাত্রীদের তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ইতিহাস গোপন না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চরধাম যাত্রায় বিপুল সংখ্যক ভক্ত উত্তরাখণ্ডে পৌঁছেছেন। যাত্রা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চার ধামে বিপুল ভিড়ের চাপে অফলাইন রেজিস্ট্রেশন দু'দিনের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
২০২৩ সালে চারধাম যাত্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল
গত বছর চারধাম যাত্রায় প্রায় ২০০ ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। গত বছর যাত্রা শেষ হওয়ার পরে সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কেদারনাথে ৯৬ জন, যমুনোত্রী ধামে ৩৪ জন, গঙ্গোত্রী ধামে ২৯ জন, বদ্রীনাথ ধামে ৩৩ জন, হেমকুন্ড সাহিবে ৭ জন এবং গোমুখ ট্রেকে ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যেখানে ২০২২ সালে, চারধাম যাত্রার সময় ২৩২ জন ভক্তের মৃত্যু হয়।