হরিয়ানা দাঙ্গায় এখনও পর্যন্ত ১১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। হরিয়ানার নুহতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর একটি ধর্মীয় মিছিল চলাকালীন সোমবার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় হরিয়ানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যে ২৯ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষে দুজন হোম গার্ড, একজন সাধারণ নাগরিক এবং এক মসজিদের ইমাম সহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামে হিংসা নিয়ে দিল্লিকে সতর্ক করেছে প্রশাসন। নুহতে সংঘর্ষের একদিন পরে, মঙ্গলবার জনতা গুরুগ্রামের বাদশাপুরে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সংলগ্ন দোকানে ভাংচুর চালায়। উত্তেজিত জনতা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের দোকান ভাংচুর করে এবং এলাকার একটি মসজিদের সামনে "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দেয়। হিংসার বাদশাপুর বাজার বন্ধ হয়ে যায়। গুরুগ্রাম পুলিশ সাধারণ মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। হরিয়ানার গুরুগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরে সতর্কতা জারি করার পরে দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার জাতীয় রাজধানীতে টহল বাড়িয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, গুরুগ্রাম জেলা শাসক সারা জেলা জুড়ে জ্বালানী স্টেশনগুলিতে ডিজেল এবং পেট্রোল বিক্রির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। হরিয়ানা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর নুহ সংঘর্ষকে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। ভিএইচপি হিংসার ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি করেছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোন দাঙ্গাবাজকে রেয়াত করা হবে না’।
এদিকে মঙ্গলবার নূহ ও আশপাশের এলাকায় নতুন করে কোন হিংসার ঘটনার খবর মেলেনি। আধাসামরিক বাহিনীর ১৩ কোম্পানি কর্মীরা ইতিমধ্যেই জেলায় পৌঁছেছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফরিদাবাদ, পালওয়াল এবং গুরুগ্রামে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।