Parliamemt Season: বাদল অধিবেশনে অভব্য আচরণ। রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশন সাসপেন্ড থাকবেন এই ডজন সাংসদ। এরা প্রত্যেকেই বিরোধী দল তৃণমূল, কংগ্রেস, শিবসেনা এবং বাম দলগুলোর সাংসদ। এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই ১২ সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনেন। বিরোধীদের আপত্তি সত্বেও ধ্বনীভোটে পাস হয়েছে সেই নোটিস।
এই অধিবেশনের পুরোটা যে সাংসদরা সাসপেন্ড হলেন: ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুন বরা, রাজামনি প্যাটেল, নাসির হুসেইন, অখিলেশ সিং, দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী প্রমুখ।
আলোচনা ছাড়াই সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রকে ‘আতঙ্কগ্রস্ত’ বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিতর্ক ছাড়াই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে বোঝা গেল যে সরকার আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে এবং ওঁরা জানেন যে কিছু ভুল হয়ে গিয়েছিল।’
আজই সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন নিয়ে তুমুল হট্টগোলের আশঙ্কা ছিল। যা আঁচ করে আগেভাগেই বিরোধীদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে মোদীরআবেদনে কর্ণপাত করেননি বিরোধী সাসংসদরা। তুমুল হইহট্টগোল শুরু করেন তাঁরা। ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে অধিবেশন ফের শুরু হলে লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিল পেশ করেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তুমুল হইচইয়ের মধ্যেও আলোচনা ছাড়াই ধ্বনি ভোটে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয়ে যায়।
কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছিলেন। শেষমেশ গুরু নানকের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাসের পর রাহুল গান্ধী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতেই হতো, এই ভবিষ্যদ্বাণী তাঁদের দলই সবার আগে করেছিল। এপ্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, ‘তিন-চার জন পুঁজিবাদীর শক্তি কৃষক ও শ্রমিকদের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না।’ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস কৃষকদের পাশাপাশি গোটা দেশের কাছেই বড় জয় বলে মনে করেন রাহুল গান্ধী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন