রাজধানীতে ফের দলিত-কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তি মেয়েটিদের বাড়িওয়ালার এক আত্মীয়। এই ঘটনায় বাড়িওয়ালার পরিবারের আর কারও কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফের শিরোনামে দিল্লি। আবারও লালসার শিকার এক দলিত কিশোরী। ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে তার বাড়িওয়ালার এক আত্মীয় ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তাঁদের জানায় শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ করে খুনের তত্ত্ব জোরালো হয়। মেয়েটির মুখ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল, এমনকী তাঁর গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। দলিত ওই কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা পেশায় এক দিনমজুর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তার বাবা জানিয়েছেন, বাড়িওয়ালার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। বাড়িওয়ালার অনুরোধেই তিনি তাঁর মেয়েকে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম প্রবীণ। তিনি আরও বলেন, “বাড়িওয়ালার স্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তাঁর ভাইয়েরও আমার মেয়ের বসয়ী একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে পাঠালে সে কিছুদিন সেখানে ভালোই কাটাবে। ১৭ জুলাই আমার মেয়েকে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।”
আরও পড়ুন- বড়সড় করোনা-স্বস্তি দেশে, একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ
মেয়েটির বাবা আরও জানিয়েছেন, ২৩ অগাস্ট বিকেলে বাড়িওয়ালাই তাঁকে ফোন করেন। ফোনে বাড়িওয়ালা তাঁকে বলেন তাঁর মেয়ের খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তারও ঘণ্টা চারেক পরে প্রবীণ বাড়িওয়ালার স্ত্রী ও সঙ্গে আরও দুজন একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের মেয়ের মৃতদেহ দিল্লিতে নিয়ে আসেন। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে দলিত ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, বাড়িওয়ালার পরিবারের আত্মীয়রা তাঁকে তাঁর মেয়ের শেষকৃত্যে যেতে বলেছিলেন। এমনকী মেয়ের দেহ দাহ করার সব প্রস্তুতি তারাই করেছিলেন। তবে প্রতিবেশী কয়েকজন এতে আপত্তি তোলেন। তাঁরাই মেয়েটির বাবাকে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করানোর আবেদন করেন। পরে মেয়ের দেহ দেখে
আঁতকে উঠেছিলেন বাবা-মা। মেয়েটির মুখ-সহ ঘাড় ও পিঠের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপরেই গোটা ঘটনা পুলিশকে জানান মেয়েটির বাবা-মা। বাবু জগজীবন রাম হাসপাতালে দলিত ওই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, গুরগাঁওয়ের এসিপি রাজেন্দ্র জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রবীণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলাও রুজু করা হবে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন