৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখলেন, "দেশভাগের বেদনা ভোলা যায় না। কয়েক লক্ষ ভাই-বোন এই সময় নিজেদের ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। অনেকেই নিজেদের জীবন হারিয়েছিলেন অযাচিত ঘৃণার কারণে। আমাদের দেশের সেই নাগরিকদের লড়াইকে স্মরণ করে এবার থেকে ১৪ অগস্টকে দেশভাগের বিভীষিকা স্মরণ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হবে।" অর্থাৎ দেশভাগের যন্ত্রণার স্মৃতিকে স্মরণে রাখতেস্বাধীনতা দিবসের আগের দিনকে নয়া এক দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, "এই দিনটিকে স্মরণে রেখে সমাজে ভেদাভেদ বৈষম্য যেমন দূর করতে হবে তেমনই মজবুত করতে হবে দেশের সামাজিক সদ্ভাব, আক্য ও সংবেদংশীলতা।"
দেশভাগের স্মৃতি এখনও অনেকের মনেই দগদগে ঘায়ের মত বিদ্যমান। সেই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের টুইট বেশ গুরুত্ববাহী। তবে কেন হঠাৎ এতদিন পর দেশভাগ নিয়ে আলাদা একটি দিবসের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী? তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কারণ এই সরকারের সব ঘোষণার পিছনেই থাকে সুনির্দিষ্ট কারণ। দেশকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। অভিযোগ বিরোধীদের। বিভাজনের স্মৃতিকে ফের উস্কে দিতেই প্রধানমন্ত্রীর মোদীর এই কৌশলী টুইট বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেকে মনে করছেন।
রবিবার দেশের ৭৫তমম স্বাধীনতা দিবস। জাতীয় এই গর্বের দিনে লালকেল্লা থেকে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন