/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/jo-1.jpg)
ক্ষুদে সাংবাদিক গুরমিট গয়াট
হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। প্রচারে ঝড় তুলছেন রাজনৈতিক নেতারা। আর তাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন ১৪ বছরের এক সাংবাদিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। ক্ষুদে এই সাংবাদিককের নাম গুরমিট গয়াট ওরফে গোল্ডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে জন নায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষমন্ত চৌতালার সাক্ষাৎকার নিয়েছে সে। ভোট যত এগিয়ে আসছে ছোট্ট এই ছেলেটার ব্যস্ততা ততই বাড়ছে।
নেতাদের সাক্ষাৎকারের প্রায় ২০০ ভিডিও ইতিমধ্যেই নিজের ইউটিইব চ্যানেলে পোস্ট করেছে গোল্ডি। যার জনপ্রিয়তা শিখরে। 'জুনিয়র রিপোর্টার' এই নামেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কদর শীর্ষে। হরিয়ার ভিওয়ানী জেলার কুঙ্গের গ্রামের এই খুদে সাংবাদিকের কথায়, গত জানুয়ারিতে জিন্দ বিধানসভার উপনির্বাচনে সে দেখেছিল এলাকায় নেতারা আসছে। প্রচার চালাচ্ছে। সাংবাদিকরা তাঁদের প্রশ্ন করছেন। যা পরে টিভিতে বা খবরের কাগজের পাতায় দেখা যাচ্ছে। যা এই ধরণের কাজে আগ্রহ তৈরি করেছিল গোল্ডির। সে থেকেই সাংবাদিকতার কাজ শুরু।
আরও পড়ুন: জন সুরক্ষা আইনেই আটক ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি: অমিত শাহ
হার্ষ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছেলে গোল্ডি পড়ালেখায় অত্যন্ত ভাল। ক্লাসে প্রথম হয় সে। তাঁর ভাল লাগার জায়গা অবশ্য সাংবাদিকতা। জন নায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষমন্ত চৌতালার প্রথন সাক্ষাৎকার নিয়েছিল গোল্ডি। সে কথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানায় সে। গোল্ডি বলে, 'আমি যেসব প্রশ্ন করেছি দুষমন্ত চৌতালা তার উত্তর দিয়েছেন।' দুষমন্ত চৌতালাও ওই খুদে সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। গোল্ডির কথায়, 'কোন নেতা কোথায় কখন যাবেন তা জানায় আমরা বন্ধুরা। এছাড়া টিভি ও খবরের কাগজ দেখে জানতে পারি। এরাই আমার সূত্র।'
আরও পড়ুন: ‘লাল ফিতের ফাঁস মুক্ত হতে হবে’, সরকারকে পরামর্শ নোবেল জয়ীর
গোল্ডির বাবা জিতেন্দর সিংয়ের বলেন, 'প্রথমে বুঝতে পারতাম না যে ও সাংবাদিকতা করতে চায়। পরে সেটা স্পষ্ট হয়েছে।' পরিবারের দাবি গোল্ডি হরিয়ানা, হিন্দি, ইংরেজী, পাঞ্জাবি, ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে পারে। ক্লাস টুয়েলভের পর ও চাইলে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পড়তে পারে। এছাড়া, সাক্ষাৎকারের জন্য কখনও বাবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে যায় গোল্ডি।
ক্ষুদে সাংবাদিক এখন চরম ব্যস্ত। পরে কি সে আরেকবার সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তার জবাব, 'অমি পরে এখানে নাও থাকতে পারি। তাই যা প্রশ্ন তা তা এখনই করে ফেলুন।'
Read the full story in English