Advertisment

অযোধ্যায় জারি ১৪৪ ধারা

আজ, সোমবার থেকে শুরু হবে রাম জন্মভূমি মামলার শে‌ষ পর্বের শুনানি। তার আগেই অযোধ্যায় জারি হল ১৪৪ ধারা। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলাশাসক অনুজ ঝা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ayodhya

১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলাশাসক অনুজ ঝা।

আজ, সোমবার থেকে শুরু হবে রাম জন্মভূমি মামলার শে‌ষ পর্বের শুনানি। তার আগেই অযোধ্যায় জারি হল ১৪৪ ধারা। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলাশাসক অনুজ ঝা। তবে দর্শনার্থীদের যাতে সমস্যা না হয় সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Advertisment

বিতর্কিত অযোধ্যা জমি মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে ফের সোমবার থেকে চালু হবে। ১৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এরই মধ্যে শনিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দীপাবলিতে বিতর্কিত ভূমিতে ৫১০০ প্রদীপ জ্বালানোর দাবি জানায়। অনুমতির জন্য ফৈজ়াবাদের ডিভিশনাল কমিশনার মনোজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করার কথা সংগঠনের নেতাদের। প্রতিবাদ জানায় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি। প্রশাসনের দাবি, এই ইস্যুতে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় তাই আগেভাগেই অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: শেষ দেখতে চায় অযোধ্যাও

একটি ট্যুইট পোস্টে অযোধ্যার জেলা শাসক অনুজ ঝা লিখেছেন, 'স্থানীয় ও পর্যটকদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।' আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'গত ৩১শে অগাস্ট একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল বেআইনি জমায়েত মানে নেওয়া হবে না। কিন্তু, সেই নির্দেশিকায় বেশ কয়েকটি পয়েন্ট বাদ ছিল। ১২ই অক্টোবরের নির্দেশিকায় সেগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।' নতুন নির্দেশিকায় অনুশারে বিনা অনুমতিতে অযোধ্যায় কোনও গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। আতস বাজি তৈরি ও বিক্রিতেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে, এলাকার গুদামগুলি প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে খোলা থাকবে। ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা প্রশাসনের সহ অফিসারদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বৈশাখী, দেবশ্রী, হাসিন, দলবদল নিয়ে কী ভাবনা পদ্মশিবিরের

এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানান ১৭ অক্টোবর এই মামলা সংক্রান্ত কাজ শেষ করা হবে। আর আদালতে এই মামলা সংক্রান্ত সকল তর্ক-বিতর্কের জন্য ১৮ অক্টোবর অন্তিম সময় হিসেবে ধার্য করা হয়। বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসরের আগেই ১৮ নভেম্বরের মধ্যে এই মামলা নিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার কথা জানানো হয়েছিল।

২০১০-এর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪ টি আবেদন জমা পড়েছে। ২০১০-এর রায়ে এলাহবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সমান তিনভাগে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলেচিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লালার মধ্যে।

Read the full story in English

Babri Mosque Ayodhya
Advertisment