উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় রেকর্ড। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসের মধ্যেই উপত্যকায় জঙ্গি হামলা বেড়েছে অনেকটাই এমনই তথ্য পেশ করল কাশ্মীর পুলিশ।
জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে প্রথম চার মাসেই উপত্যকাতে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৬২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন ভিনদেশি সন্ত্রাসবাদী।
২০২১ সালের প্রথম চার মাসে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের প্রধান। তিনি বলেছেন চলতি বছর নিহত ৬২ জনের মধ্যে ১৫ জনকে "বিদেশী" জঙ্গি (পাকিস্তানী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবার ৩২ জন, জইশ-ই-মহম্মদের ১৫ জন, এইচএম-এর ৬ জন এবং আল বদর-এর ২ জন।
গত বছরের প্রথম চার মাসে উপত্যকায় কোন বিদেশী জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় নি বলাও পুলিশের তরফে জানান হয়েছে। আইজি (কাশ্মীর) বিজয় কুমার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘৬২ জনের মধ্যে ৩২ জন জঙ্গি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যোগ দেওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন’।
আরও পড়ুন: টিকাদানে রেকর্ড সাফল্য ভারতের, তথ্য পেশ কেন্দ্রীয় সরকারের
জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনা। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বৃদ্ধির মধ্যে, সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। কীভাবে সমাজের প্রতিটি অংশ সন্ত্রাসবাদের ‘ক্ষত’ভোগ করেছে এবং নাগরিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে সেনাবাহিনী উপত্যকায় শান্তির জন্য তাদের লড়াইয়ে তাদের সকলের সঙ্গে রয়েছে। ভিডিওটি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘চিনার কর্পস’দ্বারা টুইট করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ কীভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আঘাত করে চলেছে। তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য ভারতীয় সেনা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ‘কাশ্মীর ফাইটস ব্যাক’ শিরোনামে একটি ভিডিও সামনে এনেছে।
যেখানে দেখানো হয়েছে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শান্তিপ্রিয় কাশ্মীরের মানুষের জীবন কীভাবে সন্ত্রাসবাদ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। একই সঙ্গে এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কীভাবে বছরের পর বছর উপত্যকার যুবকদের বিপথে চালনা করা হচ্ছে।
গত বছর এই সংখ্যা কম কেন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক বলেছেন “গত বছর এই সময়কালে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। ২০২১ এর মাঝামাঝি সময় থেকে উপত্যকা ফের অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান’।
সূত্রের খবর, পাক মদত পুষ্ট জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ড্রোনের মাধ্যমে উপত্যকার একাধিক অংশে হামলা চালাচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবেলা করার জন্য, নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিতভাবে উপত্যকায় গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করছে, এলেটি এবং জিম-এর মতো সংগঠনের কিছু শীর্ষ কমান্ডারকে চিহ্নিত করে তাঁদের গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়েছে । সেই সঙ্গে বেশ কিছু শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
Read story in English