Pune Factory Fire: রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত ১৫ শ্রমিক। পুনের উড়াওয়ারে এলাকায় এই ঘটনায় একাধিক্ শ্রমিক আটকে। এমনটাই সুত্রের খবর। আটকদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। পুনে পুলিশ সুত্রে এমনটাই খবর। জেলা শাসক বলেছেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। এখনও পর্যন্ত ১৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। সময় যত এগোবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত প্রাণহানির সংখ্যা বলা মুশকিল।‘
এদিকে, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। মৃতদের পরিবারপিছু ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। কারখানা সুত্রে খবর, মোট ৩৭ জন কর্মীর মধ্যে ১৭ জন নিখোঁজ। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা আর ১৭ জন পুলিশ।
এদিকে, দিনকয়েক আগে সোদপুরে একটি গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। গত বুধবার রাত ২টো নাগাদ আগুন লাগে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিল দমকলকে। ঘটনার পর ১২ ঘন্টা লেগেছিল আগুন নেভাতে। বিলকান্দার ওই কারখানায় আটকে ছিল চার শ্রমিক। পরে তাঁদের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে গিয়ে দরজা বন্ধ পেয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই দাবি করেছিল। সেই আগুন নেভাতে রোবট ব্যবহার করেছে দমকল। আগুন না নেভা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সোদপুরের বিলকিন্দা এলাকার এক গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকান থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে দমকলে খবর দেন। তার মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকান ও গেঞ্জিকারখানার বেশিরভাগ অংশ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন নেভানোর কাজ চালিয়েছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন