নাম ভাঁড়িয়ে, পরিচয় লুকিয়ে বিয়ে ডজনের বেশি মহিলাকে! দীর্ঘ এক দশক পর পুলিশে জালে অভিযুক্ত। কীভাবে তিনি একের পর এক মহিলা নিজের পাতা ফাঁদে ফেলতেন শুনলে চোখ কপালে উঠবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৪ সাল থেকে কমপক্ষে ১৫ জন মহিলাকে বিয়ে করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর মহেশ কে বি নায়ক (৩৫)।
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে ডজনের বেশি মহিলা বিয়ে। একদশক পর পুলিশের জালে অভিযুক্ত। ডেটিং সাইটের মাধ্যমে মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে মহেশ কে বি নায়ক নামের বছর ৩৫-এর এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে মাইসোর পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির চার সন্তানও রয়েছে।
মাইসোর সিটি পুলিশ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে ডজনের বেশি মহিলা বিয়ে করার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে ডেটিং সাইটে মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে কমপক্ষে ১৫ জন মহিলাকে বিয়ে করেছেন। তার চার সন্তানও রয়েছে। দিন কয়েক আগেই মাইসোরের এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর মহেশের ইংরাজি বলা নিয়ে মহিলার সন্দেহ হয়। এরপর তিনি মহেশের একাধিক গতিবিধি ফলো করা শুরু করেন।
থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং গ্রেফতার হন ওই ব্যক্তি।পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিন মহিলার থেকে কমপক্ষে তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি যে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে বিয়ে করেন তার কাছে ক্লিনিক খোলার নামে ৭০ টাকা চান মহেশ। তরুণী তা দিতে না পারায় তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। এমনকী তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে বিয়ের অনুষ্ঠানে বাবা-মা-আত্মীয় সাজিয়ে যাদের হাজির করা হত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দিতেন মহেশ।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে বলে তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ। নিজেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে ডেটিং সাইটে আলাপ জমাতেন। কথা বার্তায় রীতিমত ওস্তাদ ছিলেন ওই ব্যক্তি। যার কারণেই একের পর এক মহিলা ওই ব্যক্তির প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। বেশিরভাগ মহিলা সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করা থেকে বিরত থাকেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে জানা গেছে যে নায়কের বাবা তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলাও দায়ের করেছিলেন। ৯ জুলাই মাইসোর থেকে একটি বিশেষ দল মহেশকে গ্রেফতার করে। বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলিতে তার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে, পুলিশ জানতে পারে তিনি আরও ৯ মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলন। সকলেই তারা মহেশকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন।