উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হিমবাহে ধসের জেরে জোশীমঠে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও ১৫০ জন নিখোঁজ। দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ ১৫০ জন শ্রমিক। এঁরা তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এঁদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। সূত্রের খবর, হতাহতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে রাজ্যের মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ বলেছেন, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত বহু শ্রমিক জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারেন। তবে উদ্ধারকার্য পুরোদমে চলছে। নামানো হয়েছে বায়ুসেনা। এয়ারফোর্সের চপারে করে দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিকে, ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে। ধৌলিগঙ্গা এলাকায় রেনি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজের জন্য শ’খানেক ITBP জওয়ানদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আকস্মিক এই ঘটনায় গ্রামের অনেক বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। এমনকী ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন, কারণ সেটি নির্মীয়মান ছিল। ধৌলিগঙ্গা হিমবাহ ধসের কারণে তপোবনও ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানের ব্যারেজও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এখন এই ধ্বংসযজ্ঞে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।