Covishield Vaccine: কোভিশিল্ড প্রাপকদের ইউরোপ প্রবেশে জটিলতা আরও কিছুটা কমল। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৬টি দেশ সিরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকাকে স্বীকৃতি দিল। ফলে ভারতীয়দের জন্য কোভিশিল্ড-সহ ইউরোপের ১৬টি দেশ দরজা খুলল। শনিবার ট্যুইট করে এই খবর দিয়েছেন খোদ সিরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। টুইটে আদর লিখেছেন, ‘পর্যটকদের কাছে এটা সত্যিই সুখবর যে, ইউরোপের ১৬টি দেশে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও বিভিন্ন দেশের নিয়মে রকমফের থাকতে পারে। ফলে টিকাপ্রাপকদের সেসব দেশে ভ্রমণের আগে তা খুঁটিয়ে দেখার অনুরোধ রইল।’
আপাতত ইউনিয়নের ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও স্পেন-সহ মোট ১৬টি দেশই স্বীকৃতি দিল কোভিশিল্ডকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড টিকা এদেশে কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সিরাম। কিন্তু সেই টিকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছাড়পত্র নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। ইউনিয়ন-এর টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছিল, কোভিশিল্ডের জন্য তাদের কাছে বাণিজ্যিক ছাড়পত্রের আবেদন জমা পড়েনি। ফলে তাতে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্রের অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও পরে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইৎজারল্যান্ড-সহ হাফ ডজন দেশ এই টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেন কোভিশিল্ড নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে? সেই বিষয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন।
এমনকি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন টুইট করে জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ডকে ইইউ-এর ১৫টি দেশ অনুমোদন দিচ্ছে। এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্য টিকায় অনুমোদন দিলেও কোভিশিল্ডকে সবুজ সঙ্কেত দিতে রাজি ছিল না ব্রিটেন। এই আবহে ভারত সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র না দেওয়া হলে ইইউ অনুমোদিত টিকাপ্রাপ্তদের এদেশে কোয়ারান্টিনে রাখা হবেই। দীর্ঘ এই টানাপোড়েনের শেষে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেল।
এদিকে, প্রকোপ কমলেও সম্পূর্ণ কাটেনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব। এর মধ্যেই প্রমাদ গুনছে দেশ। যেকোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। আশঙ্কা আরও বেড়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি আয়োগ সদস্যের সতর্কবাণীতে। ডাঃ ভি কে পাল সাফ জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগামী ১০০-১২৫ দিন অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। কোভিডের প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ পালের কথায়, ‘সংক্রমণের মাত্রা কমেছে। কিন্তু এটাই সতর্ক হওয়ার সময়। আগামী ১০০-১২৫ দিন খুবই সঙ্কটের হতে পারে। তাই এই সময়কালে খুব সাবধানে জীবনযাপন করতে হবে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন