গত ২ দিনে, উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার দুটি পার্শ্ববর্তী ২ গ্রামে ১৭টি গরুর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে পাওয়াস গ্রামে সাতটি এবং বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর গ্রামে ১০টি গরুর দেহ উদ্ধার করা হয়।
ইটাতে গো হত্যা এবং দেহাবশেষ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গো-রক্ষক বাহিনী। পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আলিগড়ের বিভাগীয় সভাপতি ডাঃ আকাশ শর্মা বলেন, গবাদি পশুর মৃত্যুর বিষয়টি গুরুতর। রাতে গোয়ালঘর থেকে গরু সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নীরব। দুদিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে যে আইপিসির ৩৯৫ (ডাকাতি), ৩৯৭ (ডাকাতি, বা ডাকাতি, মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের চেষ্টা সহ) এবং ইউপি প্রিভেনশন অফ কাউয়ের ধারায় দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিপ্তে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, বজরং দল, ভিএইচপি-র সদস্যরা ইটা জেলা শাসকের বাইরে বিক্ষোভ করেছে এবং গরু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে "কঠোর ব্যবস্থা" গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
শীর্ষ পুলিশ কর্তা সুনীল কুমার বলেন, তিনজনকে গোয়াল ঘরে ঢুকতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আমরা সন্দেহ করছি যে এই দলটি গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত”।
সার্কেল ইনস্পেক্টর বিক্রান দ্বিবেদী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘প্রথম দিন (মঙ্গলবার সকালে), সাতটি গরুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে এবং পরের দিন ১০টি গরুর মৃতদেহ মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গো-হত্যার পিছনে রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে’।