Advertisment

ধর্মীয় সমাবেশে বাধা, নান্দেদ সাহিবে পুলিশের উপর হামলা শিখদের

হিংসার ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হিংসার ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

করোনার জেরে ধর্মীয় সমাবেশে বাধা। তার জেরে পুলিশের উপর হামলা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের। ঘটনাটি হয়েছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ গুরুদ্বারে। হিংসার ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। করোনা অতিমারীর জেরে মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। তা উপেক্ষা করেই গুরুদ্বরে হোলা মোহাল্লা উৎসব পালন করতে চেয়েছিলেন শিখরা। কিন্তু পুলিশ বাধা দেওয়ায় রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Advertisment

সোমবার পুলিশের অনুমতি না পেয়ে গুরুদ্বারে জড়ো হন কয়েক শো শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। বিকেল চারটে নাগাদ শারীরিক দূরত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে জমায়েতকে সরানোর চেষ্টা করে। তখনই উন্মত্ত জনতা পুলিশের উপর হামলা চালায়। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জনতা গুরুদ্বারের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড লাথি মেরে সরিয়ে দিচ্ছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর আক্রমণ করে তারা। এক আধিকারিক-সহ চারজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হন। তবে সবাই বিপন্মুক্ত বর্তমানে।

মহারাষ্ট্রের ডিজিপি রজনীশ শেঠ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, সোমবার থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। খুনের চেষ্টা, দাঙ্গা ও আহত করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থল এই নান্দেদ গুরুদ্বার। শ্রী হাজুর আবচল নগর সাহিব গুরুদ্বারে শিখদের 'দশম গুরু' গুরু গোবিন্দ সিং 'গুরু গ্রন্থসাহিব' ধর্মগ্রন্থকে অভিষিক্ত করেন। জীবনের শেষ ১৪ মাস তিনি এখানেই কাটিয়ে ছিলেন বলে জনশ্রুতি।

সোমবার শিখদের পবিত্র পতাকা নিশান সাহিব নিয়ে বিকেলের দিকে জড়ো হতে থাকে জনতা। প্রায় ৩০০ জন গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশকর্মীদের উপর হামলা ছাড়াও ছটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।

Maharashtra Nanded Gurdwara
Advertisment