দেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা। দ্বিতীয় দফার ১৯ দিনের লকডাউনের শুরুতেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১২ হাজারের গন্ডি। দেশের ১৭০টি জেলা ছাড়াও আরও ২৭০টি জেলা আসতে পারে হটস্পটের তালিকায়, এমন সম্ভাবনার কথা জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ১৭০টি জেলাকে সরাসরি হটস্পট না বলে ১২৩টি জেলাকে "প্রধান সংক্রমণ স্থান" এবং ৪৭টি জেলাকে "হাইরিস্ক এলাকা" হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই জেলাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানান, এই মুহূর্তে দেশের ১৭০টি জেলায় সংক্রমণের হার খুব বেশি বলে সেগুলিকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ২০৭টি জেলাগুলিতেও আগামী দিনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাই সেখানে সংক্রমণ রুখতে বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
এদিকে দেশে করোনাক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল বারো হাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩৮০। মৃত বেড়ে হয়েছে ৪১৪। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪৮৮ জন। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০০ জন।
এদিকে, বুধবারই লকডাউনের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কৃষি সহ আইটি, ই-কমার্সকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগানে জন্য আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সংশোধিত গাইডলাইন বলবৎ হবে। স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক পরিষেবা, মনরেগার কাজও ছাড়ের আওতাধীন। বাইরে বের হলে বা কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। সব সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন