ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে ১৭৬ জন যাত্রী ও কর্মী সহ বুধবার ভেঙে পড়ে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং-৭৩৭ বিমান। গন্তব্য ছিল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সংবাদ মাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের এক আধিকারিক এবং ইরানের সরকারি টেলিভিশন। তেহরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি। ইরানের সড়ক এবং পরিবহণ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র কাসেম বিনিয়াজ বলেন, বিমানের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট, যার ফলে মাটিতে ভেঙে পড়ে সেটি।
বিমানের ১৭৬ জন যাত্রী এবং ক্রুএর সদস্যদের মধ্যে প্রত্যেকেই মৃত বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার পর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বিমানের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে ইরান টেলিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ভেঙে পড়েছে বোয়িং-৭৩৭ বিমান
ইরানের ইমারজেন্সি পরিষেবার প্রধান পীরহোসেন কুলিভান্দ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, "আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আমরা কোনোরকম উদ্ধারের চেষ্টা করতে পারি নি...আমাদের কাছে ২২টি অ্যাম্বুল্যান্স, চারটি বাস অ্যাম্বুল্যান্স, এবং একটি হেলিকপ্টার মজুত রয়েছে।"
ইরানের অসামরিক বিমান পরিবহণ বিভাগের মুখপাত্র রেজা জফরজাদেহ বলেন, "ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর বিমানটি পরন্দ এবং শাহ্রিয়ার-এর মাঝামাঝি জায়গায় ভেঙে পড়ে। খবর পাওয়ার পরে সেখানে পাঠানো হয় রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহণ বিভাগের এক্টি দলকে।"
গত তিন বছর ধরে যাত্রী পরিবহণের জন্য বিমানটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইরানের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, যাত্রী ও ক্রু সহ দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিলেন মোট ১৮০ জন। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগেই ইরাকের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
গত তিন বছর ধরে যাত্রী পরিবহণের জন্য বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি ব্যবহার করা হচ্ছিল
পৃথিবীর অন্যান্য বিমান প্রস্তুতকারকদের মতোই বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করে থাকে বোয়িং। তবে বুধবারের ঘটনায় কিঞ্চিৎ ব্যাহত হতে পারে সেই প্রক্রিয়া, যেহেতু মে ২০১৮ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।
Read the full story in English