New Delhi Railway Station Stampede: মহাকুম্ভের পথে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে কেন্দ্র উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মহাকুম্ভের পথে ফের বড়সড় বিপর্যয়। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভক্তদের বিপুল ভিড়ে সৃষ্টি হয় দমবন্ধকর পরিস্থিতি। দুটি ট্রেন দেরিতে পৌঁছালে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্টে হয়ে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সতীশ কুমার দুর্ঘটনার তদন্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
রেল সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, ১৪/১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা প্রয়াগরাজের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছিলেন। দুটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের থেকে দেরিতে পৌঁছালে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এর মধ্যেই বেশ কয়েকজন ভিড়ের চাপে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান। পদপিষ্টে মৃত্যু হয় ১৮ জন পুণ্যার্থীর।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স সহ দমকলের চারটি ইঞ্জিন। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
লোক নায়ক হাসপাতাল প্রশাসন গত রাতে ১০ জন মহিলা সহ ১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি হাসপাতালে আরও অনেকে আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করে লিখেছেন,, "নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দিল্লি পুলিশ এবং আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিড় সামাল দিতে বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে।"
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা জানিয়েছেন, "নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে একটি দুর্ভাগ্যজনক ও মর্মান্তিক ঘটনায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের অনুরোধ করেছি। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবকটি হাসপাতাল প্রস্তুত"।