শুক্রবার বিকেলে বিহারের এক বৌদ্ধ মিশনারি স্কুল থেকে উদ্ধার করা হল ১৮ জন আদিবাসী শিশুকে। এদের প্রত্যেকেই ত্রিপুরার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা। অধিকাংশের বাড়ি উত্তর ত্রিপুরার পেচারথাল গ্রামে। বছর দুয়েক আগে ধর্মীয় পাঠ নেবার লক্ষ্যে পরিবার থেকে ওদের পাঠানো হয়েছিল বিহারের মিশনারি স্কুলে।
বোধগয়ার কাছে অবস্থিত ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মাস দুয়েক আগে। ১৮ জন শিশুকে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার করে বিহার পুলিশ। শিশুদের নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে দিনকয়েক তাদের নিজেদের কাছেই রাখে বিহার প্রশাসন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে।
আরও পড়ুন, ‘আমাদের এখান থেকে নিয়ে চলো’, গয়ায় বৌদ্ধ ভিক্ষুকে বলল আট বছরের শিশু
আসামের কারবি আংলং জেলার যে সমস্ত বাচ্চাদের উদ্ধার করা হয়েছিল বিহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, তাদেরকেও ত্রিপুরা যাওয়ার পথে গুয়াহাটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে বিহার পুলিশ। ত্রিপুরার একটি রেল স্টেশনে শিশুদের নিতে উপস্থিত ছিলেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ।
সুদীপবাবু বলেছেন, "আমাদের শিশুরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পেরেছে, এর চেয়ে স্বস্তির কিছু হয় না। কিন্তু ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিহার প্রশাসনের কাছে আমরা লিখিত দাবি জানাব।"
ত্রিপুরার রাজ্য শিশু কল্যাণ দফতরের সভাপতি নীলিমা ঘোষ উদ্ধার হওয়া শিশুদের দেখে এসে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আমি ওদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। শিশুদের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য পরিবারকে ওই বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে টাকাও পাঠাতে হতো। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খুব শিগগির আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।