Advertisment

১৯৮৪ শিখ বিরোধী দাঙ্গায় সজ্জন কুমারের আত্মসমর্পণ

দাঙ্গার সময়ে এক শিখ পরিবারের পাঁচ সদস্য খুনের মামলায় গত  ১৭ ডিসেম্বর সজ্জনকুমারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। হাইকোর্ট সজ্জন কুমারকে এই মামলায় আমৃত্যু হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আত্মসমর্পণ করলেন সজ্জন কুমার (ফাইল ছবি- প্রবীণ খান্না)

আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ১৯৮৪-র শিখ বিরোধী দাঙ্গায় শাস্তিপ্রাপ্ত এই নেতা সোমবার দিল্লির কারকারডুমা আদালতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অদিতি গর্গের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন। এদিনই তাঁর আত্মসমর্পণের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল।

Advertisment

অন্য দুই সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিধায়ক কিষাণ খোখর এবং মহেন্দ্র যাদব সোমবার সকালেই আত্মসমর্পণ করেছেন।

আরও পড়ুন, ‘কড়া নজরদারি’ সত্ত্বেও ৪১ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি; হিসেব দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

দাঙ্গার সময়ে এক শিখ পরিবারের পাঁচ সদস্য খুনের মামলায় গত  ১৭ ডিসেম্বর সজ্জনকুমারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। হাইকোর্ট সজ্জন কুমারকে এই মামলায় আমৃত্যু হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত তার রাে এই দাঙ্গাকে “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ“ বলে বর্ণনা করে বলেছিল, যারা এই দাঙ্গা বাধিয়েছিল তারা “রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা“ উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে আইন বলবতকারী সংস্থার “ঔদাসীন্যের“ সহায়তাও পেয়েছিল।

সজ্জন কুমার আদালতে আত্মসমর্পণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের বদলে  ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাডানোর আবেদন করেছিলেন। সে আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। সজ্জন কুমার তাঁর আবেদনে বলেছিলেন বলেন, তাঁর বড় পরিবার, সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ের ঠিকঠিকানা করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলেই তিনি আত্মসমর্পণের সময়সীমা বাড়াতে চান।

গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা শাস্তি মকুবের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত শুনানিরও আবেদন জানান। শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় ভ্রান্তিজনক এবং তাঁকে ভ্রমাত্মক ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

আবেদনে সজ্জন কুমার বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা ষড়যন্ত্রের অভিযোগের প্রমাণ নেই। এমনকি এই মামলার অন্য অভিযুক্তদের তিনি চিনতেন না বলেও শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন সজ্জন কুমার।

Advertisment