চলতি মাসের শেষেই সংক্রমণের শিখর ছুঁতে পারে করোনা সংক্রমণ। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই উৎকণ্ঠার মধ্যেই মঙ্গলবার সামান্য স্বস্তি দিয়েছিল করোনার নিম্নমুখী গ্রাফ। কিন্তু সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় ফের লাফিয়ে বাড়ল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুর হারও নতুন করে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশে মোট অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লক্ষের বেশি।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯১৪ জন। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই রাজধানী দিল্লিতে আজ সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। মেনে চলা হচ্ছে সমস্ত কোভিডবিধি। অনুষ্ঠানে বিস্তর কাটছাঁটও করা হয়েছে। ভারতের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ জাতির উদ্দেশে তাঁর ভাষণে সকল নাগরিককে যাবতীয় করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলেন। সেই সঙ্গে করোনা কালে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের ভুয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে তিনি কোভিড ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভে অংশ নিয়ে তাদের "জাতীয় সেবা প্রদানের মৌলিক দায়িত্ব" পূরণ করার জন্য নাগরিকদের কৃতিত্ব দিয়েছেন।
এদিকে মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৬৫ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ৬১৪। প্রতিদিন যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১২৭ জন। পজিটিভিটি রেট ১৬.১৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লক্ষে ৬৯ হাজার। তবে এই উদ্বেগের মাঝেই সাময়িক স্বস্তি দিল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ২২ লক্ষ ২৩ হাজার ১৮ জন। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৩ জন। সুস্থতার হার ৯৩.২৩ শতাংশ।