২২ ঘন্টা ধরে রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই জারি রয়েছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২ সেনা আধিকারিক সহ মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২২ নভেম্বর বুধবার সেনা-জঙ্গির সংঘর্ষে দুই সেনা কর্তা সহ ৪ সেনার মৃত্যুর খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাপ্টেন শুভম, মেজর এমভি প্রাঞ্জিল এবং হাবিলদার মজিদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এ সূত্রে খবর, ধর্মশালের বাজিমাল এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে বুধবার সেনা ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এসময় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। ২ জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবরে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী।সেনা পিআরও সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েঈ শুরু হয় ওই এলাকায় লাগাতার তল্লাশি অভিযান। বুধবারের এনকাউন্টারে জঙ্গিরাও আহত হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।
শ্রীনগরে লস্করের ২ জঙ্গি গ্রেফতার
বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনী লস্কর-ই-তৈয়বার দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২টি ফিলার ম্যাগাজিন ও ৮টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় (রাজৌরি এনকাউন্টার) একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। বুধবার সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে চার সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। গুলির লড়াইয়ে দুই সেনা আধকারিক সহ ৪ জন প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা। সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহত সেনাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে দুই জঙ্গিকে ঘিরে রেখেছে এবং একটি ভয়ঙ্কর এনকাউন্টার চলছে। অন্যদিকে, চলতি বছরের মে মাসেও রাজৌরির কান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে পাঁচ সেনা জওয়ান শহীদ হন।
সেনা সূত্রে খবর, এনকাউন্টারে দুই ক্যাপ্টেন, একজন হাবিলদার এবং একজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন মেজর ও আরেক সেনা আহত হয়েছেন। আহতদের উধমপুরের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মে মাসেও ৫ সেনা শহীদ হয়েছেন
চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে রাজৌরি জেলার কান্দি এলাকায় সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ সেনা জওয়ান শহীদ হন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে এনকাউন্টার চলাকালীন আইইডি বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই দুই সেনা শহীদ হয়েছেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন সেনার মৃত্যু হয়।