নাশকতার বড়সড় ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়েছে রেল পুলিশ। যাত্রীবোঝাই লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত করার ছক কষে পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। গত ১২ জুন রাতে এই ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে, এমনই দাবি গুজরাত পুলিশের। ধৃত দু'জনেই গুজরাতের মোরবি জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ। রেল ট্র্যাকে ইট বিছিয়ে যাত্রীবোঝাই লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করে ধৃতরা।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের পিছনে মাস্টারমাইন্ড কে, তা জানা যায়নি। রেল পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা চলছে। রাজকোটের রেল পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত মোরবির ওয়াঙ্কানের শহরের বাসিন্দা আকবর মিয়ানা এবং ওয়াঙ্কানের চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ কলি।
রেলের আধিকারিকরা নজরদারির সময়েই গুজরাতের মাকানসার এবং ওয়াঙ্কানের রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে একটি রেল ট্র্যাকে বেশ কিছু ইট দেখতে পান। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই দু'জনের খোঁজ মেলে। দু'জনকেই গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হলে একসঙ্গে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকত। এক্ষেত্রে জঙ্গি-যোগের আশঙ্কার দিকটিও মাথায় রেখে তদন্ত এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন- আতঙ্কের করোনা, দেশে কোভিড অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে প্রায় ৯২ হাজার
রাজকোট ডিভিশনের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট জে কে ঝালা বলেন, ''ওয়াঙ্কানের-মোরবি ডিএমইউ ট্রেন লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেল আইনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তদন্তের পর এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।''
তবে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পিছনে ধৃত দু'জন ছাড়াও আরও বড় মাথার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা চলছে। ট্রেন লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের পিছনে আসল মাথা কে? এক্ষেত্রে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত থাকার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখেই এগোচ্ছে তদন্ত।