‘সেক্সটরশন’-এর ফাঁদে ফেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল। এই ঘটনায় মন্ত্রীর অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। আর তাতেই আসে বিরাট সাফল্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড এখনও পলাতক। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
জলশক্তি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের কাছে এই মাসের শুরুতেই একটি অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল আসে। তা রিসিভ করতেই ঘটে বিপত্তি। মোবাইল স্ক্রিণে ভেসে ওঠে অশ্লীল ভিডিও। এরপর সেই রেকর্ডিং প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হয় খোদ মন্ত্রীকেই। এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেএবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জুনের শেষ সপ্তাহে মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের ব্যক্তিগত সচিব অলোক মোহন এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন। এর পরে, ক্রাইম ব্রাঞ্চ আইপিসির ৪২০ এবং ৪১৯ ধারায় এফআইআর দায়ের করে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম মহম্মদ ওয়াকিল এবং মহম্মদ সাহেব। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ সাবির এখনও পলাতক। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে তাঁর ‘মোবাইল নম্বরে একটি অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল আসে। তা রিসিভ করতেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে অশ্লীল ভিডিও। ঘটনার পরপরই আমি আমার কার্যালয়কে বিষয়টি জানায় এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বলি’। ঘটনায় পুলিশ পুলিশ একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে যেটি থেকে ভিডিও কল করা হয়েছিল। মোবাইলটিকে ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।