ভারত-চিন গালওয়ান সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের এমন আগ্রাসান নীতি সম্প্রতি অবাক করছে ভারতকে। কারণ প্যানগং লেক বাদে ২৩টি সীমান্ত যেখানে উত্তেজনা তৈরি হয় সেই এলাকাগুলিকে আগেই সনাক্ত করেছে ভারত। ১৯৯৩ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার যে ধারণা ছিল তা মেনে নিয়েছিল ভারত। এই ২৩টির মধ্যে ১১টি অঞ্চল রয়েছে লাদাখের পশ্চিম সেক্টরে, চারটি মধ্য সেক্টরে এবং ৮টি পূর্ব লাদাখে।
প্রসঙ্গত সীমান্তের বাদানুবাদ নিয়ে ভারত-চিন দুই দেশের মধ্যেই একাধিকবার আলাপ আলোচনা হয়। ১৯৯০ সালে ইন্দো-চিন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের মাধ্যমে এই ২৩টি অঞ্চলকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু গালওয়ানের এই সীমান্ত ওই ২৩টি অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে না যা পূর্বে স্থির হয়েছিল। এক আধিকারিক জানায়, "উভয় পক্ষই গালওয়ান এবং হট স্প্রিং এলাকাকে ‘সেটলড এরিয়া’ হিসাবে দেখেছে। তাই এখন চিনের এই পদক্ষেপে কিছুটা অবাক করে দিচ্ছে। কোভিড অতিমারীতে আমাদের পরিকল্পনা সূচীতে কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আরও ভালভাবে প্রস্তুত ছিলাম।"
আধিকারিক বলেন, "এই এলাকাকে কনটেসটেড এলাকা হিসেবে কখনই চিহ্নিত করা হয়নি। কিন্তু চিনের সেনাদের আমাদের দিকে দেখতে পাওয়া যায়। আমারা তাঁদের আটকে দেই সেই সময়। এরপর চাইনিজরা আসেন। তাঁরা স্বীকার করেন যে ভুল করে আমাদের সীমান্তে চলে এসেছেন। আমরা এরপর সকলকে ছেড়ে দেই এবং ওদের জিনিসপত্রও ফিরিয়ে দেই।
এদিকে পূর্ব লাদাখে বিপুল সংখ্যক চিনা সৈনিক জড়ো হয়েছেন এবং পরিস্থিতি সামলাতে সবরকম পদক্ষেপ করেছে ভারত, মঙ্গলবার একথাই জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দু’দেশের সামরিক বাহিনীর নেতারা আগামী ৬ জুন বৈঠকে বসছেন।তবে কোনওভাবেই যে ভারত তার নিজের অবস্থান থেকে পিছু হঠবে না, সে ব্যাপারে এদিন স্পষ্ট করেছেন রাজনাথ। সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চিনা দাবি জানিয়েছে যে এটা তাদের এলাকা, ভারত বিশ্বাস করে, এটা তাদের এলাকা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন