জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পথে চরম লালসার শিকার হলেন বছর ১৭-এর এক কিশোরী। গাড়ির মধ্যে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে ওই কিশোরী এক জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথেই ধর্ষণের শিকার হন কিশোরী।
ঘটনার পর পেরিয়েছে সাতদিন। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের তরফে গড়িমসিরও অভিযোগ ওঠে। অবশেষে শুক্রবার রাত্রে হায়দ্রাবাদ পুলিশ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে, গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন কিশোরের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরও দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে, ডিসিপি জোয়েল ডেভিস বলেন যে পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে তিন জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে যে গাড়িতে করে ধর্ষণের অভিযোগ সেটিও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাবের আশেপাশে অন্তত ছটি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই ফুটেজগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার সকালেই এই ঘটনায় অপর এক অভিযুক্তকে এক নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃতের নাম সাদুদ্দিন মালিক। ধৃত ওই নাবালক তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির এক বিধায়কের ছেলে।
প্রথমে পুরো ঘটনা চেপে যায় ওই কিশোরী পরে জোরাজুরি করতেই পরিবারের কাছে সব খুলে জানায় কিশোরী। ২৮ মে এই ঘটনা ঘটলেও অভিযোগ জানান হয় ৩১ মে। তারপর ৩ দিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেই দাবি কিশোরীর পরিবারের।
আরও পড়ুন: ফোঁস করতেই সময় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তুমুল আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের
ওই কিশোরীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে জানত না যে ওই পার্টিতে অ্যালকোহল খাওয়া হবে। জানলে যেত না। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, হায়দ্রাবাদের ওই কিশোরী ধর্ষণের সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার ঘাড়েও আঘাত লেগেছে। পুলিশ ছ’টি সিসিটিভি থেকে ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। জিজ্ঞাসা করা হয়েছে গাড়ির চালককে।
এর মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তদের একজনের বাবা রাজনীতিবিদ। সেই কারণে, ওই অভিযুক্ত এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না পুলিশ।
প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, বিজেপির মুখপাত্র কে কৃষ্ণ সাগর। পুলিশকে রাজনৈতিক বাধা উপেক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেই তিনি দাবি করেছেন। এদিকে এই ঘটনায় মুল অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপির তরফে থানা ঘেরাও করা হয়। এ ব্যাপারে বিধায়ক রাজা সিং অভিযোগ করেন পুলিশ আসল অপরাধীদের নাম প্রকাশ্যে আনছে না। তাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।