মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কের (কেএনপি) নামিবিয়া থেকে আগত আটটি চিতার মধ্যে দুটিকে শনিবার তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তর থেকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নামিবিয়া থেকে কুনো ন্যাশানাল পার্কে স্থানান্তরের পর থেকেই চিতাগুলিকে তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে রাখা হয়। কুনো ন্যাশানাল পার্কের এক আধিকারিক এই তথ্য দিয়েছেন। নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে আনা আটটি চিতার কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। চিতাদের ফিট সার্টিফিকেট রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রক
"শনিবার তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তর থেকে দুটি চিতাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাকী ৬টি চিতাকেও পর্যায়ক্রমে (অ্যাকলাইমেটিজেশন এনক্লোজারে) ছেড়ে দেওয়া হবে," কেএনপি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) প্রকাশ কুমার ভার্মা পিটিআইকে এই তথ্য দিয়েছেন। অ্যাকলাইমেটিজেশন এনক্লোজারটি পাঁচ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে নির্মিত। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আটটি চিতাকেই পর্যায় ক্রমে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আটটি চিতার মধ্যে পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ। পিটিআই সূত্রে খবর, পাঁচ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এই চিতাগুলিকে ছাড়া হবে। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে। জঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই চিতাগুলিকে তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে রাখা হয়। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আটটি চিতাকেই এক মাসের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
আরও পড়ুন : < মোদীর বিদেশনীতির জের, ভারতীয়দের ভূয়সী প্রশংসা পুতিনের, এক সপ্তাহে দু’বার! >
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, বন্য প্রাণীদের অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে এক মাসের বিশেষ এই কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক। ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের মুক্তির পর থেকে, আটটি চিতাকে ৬টি তারে ঘেরা মুক্ত প্রান্তরে রাখা হয়। এমনটাই জানান হয়েছে জাতীয় উদ্যানের তরফে। এই কদিন তাদের মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হয়।
১৯৪৭ সালে ছত্তিশগড়ে ভারতে শেষ চিতা মারা গিয়েছিল এবং ১৯৫২ সালে চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অল্পবয়স্ক চিতা।