উত্তরপ্রদেশে ফের দলিত তরণীকে গণধর্ষণের ঘটনা। কানপুরের দেহাত জেলায় ২০ বছরের তরণীকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ দু'জন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।
এক সপ্তাহ আগে ধর্ষণ হলেও অভিযুক্তদের ভয়ে এতদিন মুখই খোলার সাহস পাননি নির্যাতিতা তরুণী। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তাঁর পরিবার। দলিত তরুণীর পরিবারের কথায়, ঘটনার দিন বাড়িতে একা ছিলেন তরুণী। সেই সুযোগে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে একজন আবার প্রাক্তন গ্রাম প্রধান। অভিযোগ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে চরম পরিণতি হবে, শেষবেলায় এই বলে অভিযুক্তরা শাসিয়েছিলনির্যাতিতাকে।
কানপুর দেহাতের এসপি কেশব কুমার বলেছেন, 'ঘটনা এক সপ্তাহ আগে ঘটলেও গত রবিবার পুলিশ পুরো বিষয়টি জানতে পেরেছে।' অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতি (প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস) আইন, ১৯৮৯ অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে।
অভিযুক্তদের ধরতে স্থানীয় থানার স্টেশন হেড অভিসারের নেতৃত্বে দল গঠন হয়েছে। এই দলের সদস্য করা হয়েছে সার্কেল অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে।
হাথরাসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তারপরও উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণ, দলিত অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। অপরাধ বৃদ্ধির জন্য যোগী প্রসাসন ও সরকারকেই দায়ী করেছেন বিরোধিরা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন