ভারতে প্রায় ২০ হাজার পথশিশুদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই সকল পথ শিশুদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে বলে এক বিবৃতিতে জানান, NCPCR-এর চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'পথশিশুদের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল 'বাল স্বরাজ' তৈরি করা হয়েছে যেখানে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপলোড করা হয়ে থাকে এবং তাদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ট্র্যাক করা যেতে পারে এবং তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া্র ব্যাপারেও জানা সম্ভব"।
এই জাতীয় শিশুদের সনাক্তকরণ এবং পুনর্বাসনের জন্য কাজ সেভাবে কার্যকর হচ্ছে না। বলেও একাধিক মহল থেকে অভিযোগ এসেছে। এপ্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে NCPCR এর তরফে জানান হয়েছে, “অনেক রাজ্যই পথশিশুদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ার বিষয়ে উদাসীন। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চল পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য ভাল কাজ করেছে, কিন্তু দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র সহ বেশ কিছু রাজ্য সেভাবে কাজ করছে না"।
এবিষয়ে কানুনগো আরও বলেছেন 'যে দিল্লি সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে, মাত্র ১৮০০ শিশুকে প্রক্রিয়ায় আনা সম্ভব হয়েছে, তিনি আরও বলেন, ২ বছর আগে দিল্লি সরকারের তরফে আমাদের বলা হয়েছিল দিল্লিতে পথ শিশুর সংখ্যা তখন প্রায় ৭৩ হাজার, কেন দিল্লি সরকার পথ শিশুদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া নিয়ে উদাসীন তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে'। তিনি আরও বলেন, ভারতে এই মুহুর্তে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ পথ শিশু রয়েছে। “পথশিশুদের মধ্যে আমরা মূলত তিন ধরনের শিশু খুঁজে পেয়েছি—প্রথমৎ যারা তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে অন্য কোন কারণে পরিবার হারিয়ে রাস্তায় একা বসবাস করছে; দ্বিতীয়ৎ যারা তাদের পরিবারের সঙ্গে রাস্তায় বসবাস করছে এবং তৃতীয়ত যারা আশেপাশের বস্তিতে থাকে, দিনে তারা রাস্তায় এবং রাতে তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়"।
আরও পড়ুন: চিনে আজ থেকে শুরু গণ কোভিড পরীক্ষা, তালাবন্দী সাংহাই
তিনি আরও বলেন, 'ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর) এই তিন শ্রেণীর শিশুদের জন্য একটি পুনর্বাসন পরিকল্পনা তৈরি করেছে'। এই প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ধাপের কথাও তিনি তুলে ধরে বলেন, প্রথমেই শিশুকে উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) সামনে হাজির করানো হয়, সেই সঙ্গে সামাজিক সব দিক বিবেচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়। তারপর কমিটি পুনর্বাসনের সুপারিশ করে জানাবে শিশুটিকে কোথায় পাঠানো হবে'।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, " শিশুদের সনাক্তকরণ এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগের শুনানিতে আদালত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পথ শিশুদের পুনর্বাসনের কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে"।
Read in English