২০০৮ সালে আহমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। এরই পাশাপাশি বিস্ফোরণে দোষী আরও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। বিস্ফোরণে যুক্ত ৪৮ জন দোষীর প্রত্যেককে ২.৮৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত আরও এক অভিযুক্তকে ২.৮৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বিশেষ আদালতের বিচারক এ আর প্যাটেল বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার এবং ছোটখাটো আঘাতপ্রাপ্তদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা জানিয়েছেন।
২০০৮-এ আহমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্যতম দোষী উসমান আগরবাত্তিওয়ালা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এই ব্যক্তিই অস্ত্র আইনের অধীনেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। অস্ত্র আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। এদিন আদালত জানিয়েছে, IPC, UAPA, বিস্ফোরক পদার্থ আইন এবং পাবলিক প্রপার্টি আইনের ক্ষতি প্রতিরোধের প্রতিটি ধারার আওতায় ৪৯ দোষীর প্রত্যেককে সাজা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেগুলি কার্যকর থাকবে। আদালত ৪৮ দোষীর প্রত্যেককে ২.৮৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেছে। অস্ত্র আইনে আগরবাত্তিওয়ালাকে অতিরিক্ত সাজা সহ ২.৮৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য অযাচিত’, রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সাফ জানাল দিল্লি
২০০৮-এ আহমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ আদালতের বিচারক মোট ৭৮ অভিযুক্তের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধ, হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি বেআইনি কার্যকলাপের (প্রতিরোধ) অপরাধের আওতায় ৪৯ জনকে দোষী ঘোষণা করে আদালত।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই আহমেদাবাদে মোট ২২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সরকারি হাসপাতাল, আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনের এলজি হাসপাতাল, বাস, সাইকেল, গাড়ি এবং অন্যান্য জায়গায় ওই দিন একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। ধারাবাহিক সেই বিস্ফোরণের জেরে ৫৬ জন নিহত হয়েছিলেন। কম-বেশি প্রায় ২০০ জন বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন। ২৪ টি বোমার মধ্যে কলোল এবং নরোদায় রাখা বোমা ফাটেনি। পরে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে ইমেল পাঠিয়ে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামে পাক মদতপুষ্ট একটি জঙ্গি সংগঠন।
Read story in English