নিয়োগের দাবিতে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতার রাজপথ। বুধবার হাজার হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নিয়োগের দাবি জানাতে পথে নামেন। দুপুর গড়াতেই আচমকা ধর্মতলা, এক্সাইড চত্বরে চাক্কা জ্যাম শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের রুখতে এই দুই জায়গাতেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের পুলিশ আটকালে উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। ঝড়ে রক্তও। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এক্সাইড মোড়।
Advertisment
আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যেতে প্রিজন ভ্যান আনে পুলিশ। কিন্তু সেই গাড়ির চাকার কাছে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি. 'হয় নিয়োগ, নাহলে মৃত্যু।' এই পর্বে রীতিমত হিমশিম অবস্থা হয় পুলিশের। কলকাতা পুলিশর ডিসি সাউথ আকাশ মাঘেরিয়ার নেতৃত্বে কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু হয়। চলে আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের ধরপাকড়।
কোনও মতে অবস্থা সামাল দেওয়া গেলে ওই সময়ের মধ্যেই একদল টেট উত্তীর্ণদের একাংশ পৌঁছে যান ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে। চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানান তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়েন। অনেকে শুয়ে পড়েও 'নিয়োগ চাই' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। চলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও। বিকেলের পর পুলিশের বলপ্রয়োগে সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
এতেই বহু আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রক্তাক্ত হন অনেকে। অনেককে এসবের মধ্যেই পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায়। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। পুলিশ মানুষ নয়। আমার ২০১৪ থেকে টেট পাস করে বসে আছি। আর কতদিন থাকবো। এবার নিয়োগ চাই। নিয়োগ ছাড়া জায়গা ছাড়ব না।'
এর আগে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণরা সল্টলেকের করুণাময়ীতে রাস্তায় বসে টানা চার দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তুলে দিয়েছিল। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। ফলে এ দিন কিছুটা কৌশলেই কলকাতার রাজপথে নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করতে দেখা গেল আন্দোলনকারীদের।