২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল, এই চার বছরে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মধ্যে অন্যান্য চার রাজ্যের সঙ্গে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা ২০১৯-২০তে দেখা গিয়েছে চরম পরিবর্তন। ২০১৫-১৬ এ যে ডেটা ছিল তার থেকেও চিন্তা বৃদ্ধি করেছে চলতি বছরের তথ্য।
শেষ প্রকাশিত নথি দেখা দেখা গিয়েছে কোভিড অতিমারির আগেই মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ-সহ আরও পাঁচটি রাজ্যে (জম্মু-কাশ্মীরও রয়েছে) শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ আকার ধারণ করেছে। এখনও উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশের সমীক্ষার ফল পাওয়া যায়নি করোনা অতিমারির জন্য।
আরও পড়ুন, অতিমারীতে ক্ষিদের জ্বালায় ভুগেছে গুজরাট, না খেয়ে কাটিয়েছে বহু পরিবার
প্রথম পর্বের ডেটা থেকে দেখা যায় যে বেশিরভাগ রাজ্যে শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা, ওজন কম, রোগে জরাজীর্ণ কিংবা শিশু মৃত্যুর হারও যথেষ্ট চিন্তার। এই চারটি অবস্থাকেই সূচক হিসেবে দেখা হয়। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সেও এর উল্লেখ আছে। তীব্র অপুষ্টির কারণে শিশুদের ওজন যেমন কম হয়, তেমনই বৃদ্ধিও কমে যায়। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, আসাম ও কেরালায় বাড়ছে সেই হার।
অপুষ্টির ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো পূর্ণিমা মেননের মতে, শিশুদের এই অপুষ্টির বিষয়টি 'অত্যন্ত উদ্বেগজনক'। যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা যেকোনও রাজ্য ও দেশের জন্যও চিন্তার। তিনি এও বলেন, অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশগুলিতে সাধারণত এই বৃদ্ধি দেখা যায় না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন