ডেনিস মুকওয়েজ এবং নাদিয়া মুরাদ সম্মানিত হলেন ২০১৮ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে। যুদ্ধের সময় যৌন নিপীড়নকে যেভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এই সম্মান পেলেন কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজ এবং ইরাকের মহিলা নাদিয়া মুরাদ।
রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যৌন হিংসাকে যে ভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেদিকে আলোকপাত করে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই দুই ব্যক্তিত্ব।
যুদ্ধের কৌশল হিসেবে যে ভাবে নারীদের ওপর যৌন অত্যাচার করা হয় একাধিকবার তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পেশায় স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ মুকওয়েজ। কঙ্গোর সরকারের সমালোচনা করতেও দুবার ভাবেননি তিনি।
নাদিয়া মুরাদ নিজে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। ইসলামিক উগ্রপন্থীদের দ্বারা ধর্ষিতাও হয়েছেন ২৫ বছরের নাদিয়া। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে সমাজ থেকে মুখ লুকিয়ে বাঁচার জীবন নাদিয়া বাছেননি। সেখানেই তিনি ব্যতিক্রমী, অনন্যা। ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নাদিয়া সমস্ত অত্যাচারিত, নিপীড়িত মেয়েদের অধিকারের জন্য লড়েছেন। মালালা ইউসাফজির পর নাদিয়াই কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী।
১৯১৮ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। বিগত ১০০ বছরে ১৩৩ বার নোবেল দেওয়া হয়েছে। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩১ টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলো তে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সম্মান দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিতর্ক দানা বাঁধার কারণে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। ২০১৯ সালে সাহিত্যে দুটি পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি ২০১৮ সালের জন্য অপরটি ২০১৯ সালের। সুইডিশ অ্যাকাডেমির সদস্যদের যৌন কেলেঙ্কারি ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।