Advertisment

২০১৯ ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা: দোষীদের মারতেই গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, রিপোর্ট কমিশনের

১০ জন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার জন্য শীর্ষ আদালতে সুপারিশ করেছে কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2019 Hyderabad fake encounter case Police deliberately fired upon accused to kill commission

গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মারতে ফেক অনকাউন্টারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালের নভেম্বরে হায়দ্রাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট গঠিত বিচারপতি ভি এস সিরপুরকর কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অভিযুক্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে মারার জন্য গুলি করা হয়েছিল বলে বিশ্বস করে কমিশন। এছাড়া, ১০ জন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করার জন্য শীর্ষ আদালতে সুপারিশ করেছে কমিশন।

Advertisment

তিন সদস্যের রিপোর্টে উল্লেখ, এটা অবিশ্বাস্য যে চার অভিযুক্ত - মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুলু, তাঁর তুতো ভাই জোল্লু শিবা এবং জল্লু নবীন পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল ও উর্দিধারীদেরই নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। কমিশন আরও উল্লেখ করেছে যে, স্কুল রেকর্ড অনুসারে চেন্নাকেশাভুলু এবং শিবা ঘটনার সময় নাবালক ছিল।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, 'আমাদের বিবেচিত মতামত অনুসারে, অভিযুক্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে মারার জন্যই গুলি চালানো হয়েছিল এবং গুলিতে সন্দেহভাজনদের মৃত্যু হবে সেটাও ভাবা হয়।'

কমিশন সুপারিশ করেছে যে পুলিশ অফিসার ভি সুরেন্দর, কে নরসিমহা রেড্ডি, শাইক লাল মাধার, মহম্মদ সিরাজুদ্দিন, কোচেরলা রবি, কে ভেঙ্কটেশ্বরুলু, এস অরবিন্দ গৌড়, ডি জানকিরাম, আর বালু রাঠোড় এবং ডি শ্রীকান্তকে অপরাধের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে বিচার করতে হবে। এছাড়াও খুন সহ আইপিসি ২০১, ৩০২, ৩৪ ধারায় মামলা করতে হবে। কমিশন আরও বলেছে যে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে থাকা পুলিশ আধিকারিক শাইক লাল মাধার, মহম্মদ সিরাজুদ্দিন এবং কোচেরলা রবির বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০২ ধারায় মামলা করতে হবে।

বছর ২৬য়ের তরুণী পশুচিকিৎসক, দিশা হায়দ্রাবাদে তাঁর ক্লিনিক শেষ করে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই এলাকার হাইওয়ের ধারে একটি আন্ডারপাসে দিশার দেহ মেলে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয় বলে অভিযোগ। বিতর্ক আরও বাড়ে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের একটি কমিশন তৈরি করে এই এনকাউন্টার নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রিপোর্টই শুক্রবার আদালতে দিল কমিশন।

Read in English

supreme court fake encounter Telengana Hydrabad
Advertisment