গিয়েছিলেন ছুটি উপভোগ করতে। সেলফি তুলতে গিয়েই ঘটে চরম বিপত্তি। সরকারি আধিকারিকের হাত থেকে বেকায়দায় জলে পড়ে যায় ১ লাখি মোবাইল; সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকের ফোনের খোঁজে ১৫ফুট গভীর জলাশয়ে তল্লাশি চালান স্থানীয় কিছু মানুষ। কিন্তু মোবাইল ফোন না মেলায় ২১ লক্ষ লিটার জল সেঁচে ফেলার নির্দেশ দিলেন ওই সরকারি আমলা।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ওই আমলাকে। ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং এমন ঘটনার নিন্দা করে বলেছেন, কর্মকর্তারা "স্বৈরাচারী" রাজ্য সরকারের অধীনে এই রাজ্যকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে ভাবতে শুরু করছেন। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর ওই সরকারি কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
যদিও তিনি দাবি করেছিলেন জলাধারের ওই জল "অব্যবহারযোগ্য"ছিল এবং তিনি জল সেঁচে ফেলার জন্য তার সিনিয়র আধিকারিকের কাছ থেকে "মৌখিক অনুমতি" ও নিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েই সেচ ও জলসম্পদ বিভাগের এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে জল নিষ্কাশনের কাজ বন্ধ করে দেন।
ছত্তিশগড়ের এই বিচিত্র ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দামি মোবাইল নাকি শুকিয়ে যাওয়া মাঠের সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য লক্ষ লক্ষ গ্যালন জল কোনটি বেশি দামি? জানা গিয়েছে ওই আধিকারিকের নাম রাজেশ বিশ্বাস। তিনি রাজ্যের খাদ্য দফতরের এক উর্ধ্বতন আধিকারিক। খোদ সরকারি আধিকারিকের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকারে ভূমিকা নিয়েও।