মুম্বইয়ের বস্তিতে বেড়ে ওঠা বছর আঠাশের সরিতা মালি। পিএইচডি’র জন্য পাড়ি দিতে চলেছেন সুদূর আমেরিকার। তার এই কাহিনী যে কোন চিত্রনাট্যকে ও হার মানাবে। ছোট থেকেই সরিতার ঠিকানা মুম্বইয়ের ঘাটকোপারের একটি বস্তি-এলাকা। মাধ্যমিক পর্যন্ত মুম্বইয়ে রাস্তার পাশে বাবার ফুলের দোকানে থেকে বাবাকে সাহায্য করেছেন।
পাশাপাশি চালিয়েছেন পড়াশুনা। ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন সরিতা। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করার পর, তিনি এখন ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দি সাহিত্যে পিএইচডি করতে যাচ্ছেন। এমন খবরে খুশি সরিতার গোটা পরিবার। খুশি বস্তির বাসিন্দারা'ও।
বস্তি সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল স্কুলে পড়াশুনায় হাতে খড়ি সরিতার। জীবনকে ছোট থেকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘জেএনইউতে ভর্তি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে’। তিনি বলেন ‘এটা আমার জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট’। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে জেএনইউতে ভর্তির স্বপ্ন দেখতাম।
তার জন্যই আমি আমার দিদার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেখানে আমার এক বোন তখন জেএনইউতে ভর্তির জন্য এন্ট্রাসের জন্য তৈরি হচ্ছিল। আমার মামা আমার মা'কে বলেছিলেন, তিনি চান আমিও যেন জেএনইউতেই ভর্তি হই। আমি বি.এ’র প্রথম বছর থেকেই জেএনইউতে ভর্তির জন্য যাবতীয় অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে আমি ওবিসি ক্যাটাগরিতে জেএনইউতে মাস্টার্স করার সুযোগ পাই। এটা আমার জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট"।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব প্রমাণ-জুজু প্রাণ কেড়েছে ছেলের, ৯ বছর পর ভারতীয় হওয়ার স্বীকৃতি আদায় বৃদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘জেএনইউতে ভর্তির আগে পর্যন্ত আমি বাবার ফুলের দোকানে বাবাকে মাঝে মধ্যেই সাহায্য করতাম। আমার আজ এই সাফল্যের পিছনে আমার পরিবার এবং শিক্ষককের অবদান অনস্বীকার্য। ছোটবেলা থেকেই হিন্দি সাহিত্যের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। আমি আমার গবেষণার বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শিক্ষক, বন্ধু সকলের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
বিশ্বের একাধিক দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তির জন্য আবেদন করেছি। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে চান্স পাওয়া আমার কাছে একটা বড় সুযোগ’।
Read full story in English