করোনার প্রতিষেধক হিসাবে নতুন কিছু তৈরি করতে চাইছিলেন এক ওষুধের দোকানের মালিক। সেই লক্ষ্যেই অজানা ওষুধ গ্রহণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন নিজের এবং কর্মচারীর উপর। পরে জানা যায় পেট্রোলিয়াম পরীক্ষা করার রাসায়নিক হিসাবে ব্যবহৃত এক বিশেষ দ্রব্য গ্রহণ করেন দুজনে। বৃহস্পতিবারই একজনের মৃত্য হয়। চেন্নাইয়ের সুজাতা বায়োটেকের মালিক এই কান্ড ঘটিয়েছেন।
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, "দোকানের মালিক ও কর্মচারী দুজনে এই রাসায়নিক গ্রহণ করার পর একাধিক শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। মালিকের কন্ডিশন বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল।"
দোকানের কর্মচারী ৪৭ বছরের কে শিভানেশনের মৃত্যু ঘটেছে। তিনি সুজাতা বায়োটেকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে ২৭ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। সুজাতা বায়োটেকে কফের সিরাপ প্রস্তুত করা হয়।
পুলিশ আধিকারিক জানালেন, "বৃহস্পতিবার কোম্পানির মালিক ডক্টর রাজ কুমার এবং শিভানেশনের দেখা করেন লকডাউনের মধ্যেই। করোনা প্রতিষেধক হিসাবে নাইট্রিক অক্সাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেটের সংমিশ্রনে বিশেষ ওষুধ তৈরি করেছিলেন। কোম্পানির মালিকের পরিকল্পনা ছিল, তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা সফল হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।"
সেই পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই শিভানেশন এবং কুমার সোডিয়াম হাইড্রেট গ্রহণ করে ফেলেন। মূলত যা পেট্রোলিয়াম শোধক হিসাবে বিভিন্ন সাবানজাত দ্রব্য প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
সেই পুলিশ জানান, "ওদের বিশ্বাস ছিল হয়ত এই ওষুধ করোনার মোকাবিলায় রক্তে প্লেটেলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে এই জিনিস গ্রহণ করার পরেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় দুজনের। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুজনকে। রাত ৮টা নাগাদ শ্রীভানেশন মারা যান।"
পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষার সমস্ত উপকরণ সিজ করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।