ভারতে 'শক্তিবৃদ্ধি' করোনার, দিল্লিতে বন্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয়
আজ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা।করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ, পৃথক রাখা, পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সমন্বয় গড়ে তুলতেই এই বৈঠক।
চিন ছাড়িয়ে বিশ্বে হানা দিয়েছে করোনা। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইতিমধ্যেই ইতালিতে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাকা ভারত-ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, দিল্লিতে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, "বাচ্চাদের মধ্যে কোভিড-১৯ (COVID-19) ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রোধে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দিল্লি সরকার আপাতত সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে"।
Advertisment
সন্ত্রাসের থেকেও এ যেন আরও বড় ত্রাস। এই মুহুর্তে যার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। কাঁপছে ভারতও। বুধবার ভারত দেখল একদিনে সর্বোচ্চ করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। ১৫ জন ইতালীয় পর্যটক-সহ মোট ২৩টি আক্রান্তের ঘটনা ঘটল এই দেশেই। সব মিলিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ৩০। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে এবার বিদেশি পর্যটকদের কড়া নজরদারীতে রাখার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের খবর আসে কেরালা থেকে। এর পর একের পর এক বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দু'দিন আগেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ বছরের এই ব্যক্তি-সহ পরিবারের ছ'জন। তাঁরা এখনও দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, জয়পুরে আক্রান্ত ৬৯ বছরের ইতালীয় নাগরিক এবং তাঁর স্ত্রী-সহ ওই গ্রুপের ১৪ জন সদস্য। তাঁরা প্রত্যকেই ভর্তি জয়পুরের সাওয়াই মান সিং হাসপাতালে।
এর আগে উহান ফেরত কেরালার তিন ছাত্রের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছিল। বিহার, রাজস্থানেও ভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে কয়েকজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তবে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই থিতিয়ে এসেছিল। সোমবার নতুন করে দিল্লি ও তেলঙ্গানার দুই বাসিন্দার শরীরে সিওভিডি-১৯-এর সংক্রমণ পজিটিভ ধরা পড়ার পর থেকে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পরীক্ষার সব ফলাফলই নেতিবাচক। এদিকে, সোমবারের পর বিশেষ পদক্ষেপ হিসাবে ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে যাওয়ার ভিসা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ৩-রা মার্চ পর্যন্ত যেসব ভিসা অনুমোদন করা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়। ওইসব দেশ থেকে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।