লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উদ্ভুত উত্তেজনা 'শান্ত করতে' গালওয়ান এবং উষ্ণপ্রস্রবণ এলাকা থেকে দুই দেশের সেনাই পিছতে শুরু করেছে, বুধবার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানায় বেজিং। ৬ জুন ভারত-চিন সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের বৈঠকের পরই 'ইতিবাচক ঐক্যমত্যে' পৌঁছনো সম্ভব হয় এবং এরপরই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে এ বিষয়ে ভারত এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।
বুধবার দুই দেশের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ে চার ঘণ্টা কথা হয়। জানা যাচ্ছে, এই আলোচনায় ভারত স্থিতাবস্থা ফেরানোর পক্ষে চাপ দেয়। সীমান্ত উত্তেজনা শুরুর আগে অর্থাৎ এপ্রিলের শেষে চিনা সেনা যেখানে অবস্থান করত, সেখানেই যাতে ফিরে যায় তাও বলা হয়। ওই এলাকায় মোতায়েন চিনা বাহিনী কমানোর জন্যও সওয়াল করে ভারত। বেজিং-এ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উভয় দেশের বাহিনীই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, "সম্প্রতি ভারত ও চিন নিজেদের মধ্যে সীমান্তের বিষয়ে কূটনৈতিক ও সেনা পর্যায়ে কার্যকরী আলোচনা করেছে এবং ইতিবাচক ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। উভয় পক্ষই সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে"।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
এর আগে সোমবার বেজিং জানিয়েছিল, দুই দেশই তাঁদের নেতাদের এক্যমত্যে আসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সহমত হয়েছে এবং 'মতপার্থক্য যে বিবাদে হয়ে দাঁড়াবে না, তা নিশ্চিত করেছে'।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পিছনোর প্রক্রিয়াকে প্রথম সম্ভাব্য পদক্ষেপ বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। সম্পূর্ণ কাজটি একটি দীর্ঘ, পর্যয়ক্রমিক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসাবেই দেখছে নয়া দিল্লি।
উল্লেখ্য, চুশুল-মলডো সীমান্ত এলাকায় ৬ জুন ভারতীয় সেনার চতুর্দশ কর্প কম্যান্ডার লেফট্যানান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দক্ষিণ শিনজিয়াং সেনা জেলার কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন। এর পর বুধবার ফের কথা হয় দুই সেনা কর্তার।
Read the full story in English