নামেই প্রতীকী! শেষ শাহী স্নানেও ২৫ হাজার পুণ্যার্থীর জমায়েত হল কুম্ভমেলায়। মঙ্গলবার মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে শেষ শাহী স্নানে অংশ নিলেন অন্তত ১৩৫০ জন সাধু-সন্ত এবং ২৫ হাজার পুণ্যার্থী। হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটের ব্রহ্মকুণ্ডে গঙ্গায় ডুব দিলেন পুণ্যের আশায়। মেলা প্রশাসনের দাবি, মোট পুণ্যার্থীর এক শতাংশ এদিন শাহী স্নানে অংশ নিয়েছেন।
শাহী স্নানের কয়েক ঘণ্টা পর হরিদ্বার জেলা প্রশাসন সন্ধে থেকে করোনা কার্ফু জারি করে। ৩ মে সকাল পর্যন্ত চলবে এই কার্ফু। কয়েকদিন আগে দেশে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে এই কুম্ভমেলা নিয়ে। বিতর্কের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধু-সন্তদের উদ্দেশে বার্তা দেন, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার প্রতীকী কুম্ভমেলা উদযাপন করা হোক। সাধু-সন্তদের জুনা আখড়া তা মেনেও নেয়। কিন্তু মঙ্গলবারের চিত্র দেখে তা মনে হল না।
কুম্ভমেলার আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পর এবং মুখ্যমন্ত্রীর বারবার তদারকির পর সাধুদের আখড়াগুলি এদিন ভিড় কম রাখার চেষ্টা করেছিল। গত তিন দিন ধরে আখড়াগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়ে জমায়েত নিয়ে। তাঁরা শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেছিলেন। এমনকী নাগা সন্ন্যাসীরাও মাস্ক পরেছিলেন।
কিছু পুলিশ আধিকারিকও শাহী স্নানে অংশ নেন। তাঁদের দাবি, এটা প্রতীকী ছিল। গত ১১ মার্চ প্রথম শাহী স্নানের সময় মেলায় ৩২ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় শাহী স্নানের সময়ও একই সংখ্যক ভিড় ছিল। তৃতীয় শাহী স্নানের সময় ১৪ এপ্রিল সেই ভিড় অর্ধেক হয়ে যায়।