একরাতে রাজ্যের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতালে ২৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু। যা নিয়ে তোলপাড় গোয়া। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে এর জেরে সংঘাতের আবহ। সোমবার রাত ২টো থেকে মঙ্গলবার ভোর ছটার মধ্যে ২৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের বৃহত্তম কোভিড হাসপাতাল গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসার গাফিলতি না কি অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় হাইকোর্টের তদন্তের দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালেই পিপিই কিট পরে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সন্ধেয় হাসপাতাল আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তারপরে তিনি জানান, অক্সিজেন প্রেশার কমে যাওয়ার কারণে সমস্যা হয় হাসপাতালে। তবে সেই কারণেই মৃত্যু কি না তা নিশ্চিত নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবির জেরে হাসপাতালের অধ্যক্ষ এস এম বান্দেকর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এই হাসপাতালে মঙ্গলবার ৪৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গোটা রাজ্যে ৭৫ জন করোনার বলি হয়েছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অধিকাংশ মৃত্যুই কো-মরবিডিটির কারণে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অক্সিজেন সাপ্লায়ারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গোয়া মেডিক্যাল কলেজ যেন ২৫ মিনিটের মধ্যে অক্সিজেন পায়। অন্তত ৫৫টি ট্রলি এবং ৬০০টি জাম্বো সিলিন্ডার পাঠানো হয়। সাপ্লায়ারদের দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্রেশার ঠিক থাকে।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে ২৬ জন রোগীর মৃত্যুর জন্য অক্সিজেনের অভাবকে দায়ী করেছেন তা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, "অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু কি না তা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। আমি তো বিশেষজ্ঞ নই।" প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে একটি হলফনামায় গোয়া সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্র অক্সিজেন বণ্টনের মাত্রা ১১ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ২৬ মেট্রিক টন করেছে। কিন্তু রাজ্যের দিনে প্রয়োজন ৫৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন। প্রয়োজনীয় ৩৫ মেট্রিক টন বাজার থেকে ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।