সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই দীর্ঘ তিন বছর পর বেজিংয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে WMCC বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বুধবার। সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেজিংয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশনের (ডব্লিউএমসিসি) ২৬তম বৈঠক এদিন অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জুলাই ২০১৯-এর পর WMCC এর প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে অংশ নিল ভারত-চিন।
বৈঠকের পরে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, "উভয় দেশই ভারত-চিন সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে অচলাবস্থার তৈরি হয়েছে সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনা, সেই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে দুই দেশই সামরিক ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার একাধিক দিক নিয়েও এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়।
‘WMCC’, ২০১২ সালে সীমান্ত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের পরে, লাদাখের গালভান উপত্যকা এবং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই কারণে এ বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারতীয় সেনাও চিনা বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। তিনি ৩রা জানুয়ারী ২০২৩-এ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী যে কোনও চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। এর আগে লাদাখের গালভান উপত্যকায় বিবাদ এবং তারপর তাওয়াং সেক্টরের এই ঘটনার জেরে ভারত ও চিনের মধ্যে চড়েছে উত্তেজনার পারদ।