Advertisment

আধঘণ্টা রাজপথেই পড়ে মৃত্যু রক্তাক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতার, সাহায্য দূর, লুঠ করল পথচারীরা!

কালকাজির ডিডিএ ফ্ল্যাটের বাসিন্দা পীযূষ পাল বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
piyush pal death, delhi accident

ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।

সহ নাগরিকের প্রতি সমবেদনাহীন মানসিকতায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী হল দেশের রাজধানী শহর দিল্লি। দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কের কাছে রাস্তায় শনিবার রাতে প্রায় আধঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেন এক চলচ্চিত্র নির্মাতা। পীযূষ পাল নামে ওই চলচ্চিত্র নির্মাতার এই ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখে আশপাশে জড় হন বেশ কয়েকজন পথচারী। কিন্তু, তাঁরা কেউ বছর ৩০-এর ওই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। উলটে ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ আবার রাস্তায় পড়ে থাকা তাঁর জিনিসপত্র চুরি করেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।

Advertisment

তাতে দেখা গিয়েছে, ওই চলচ্চিত্র নির্মাতার বাইক অন্য একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে গাছে গিয়ে আঘাত করে। রাত ৯টা ৪৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এরপর মঙ্গলবার আহত অবস্থায় ওই চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃত্যু হয়। পুলিশ অবশ্য ঘটনার খবর পায় রাত ১০টা ১১ নাগাদ। পুলিশকে খবর দেন পঙ্কজ মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি। তিনি ভাইয়ের সঙ্গে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় বিশাল জমায়েত দেখে খোঁজ নিতে এসেছিলেন কী হয়েছে! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পঙ্কজ বলেন, 'আমি রাস্তার ওপর একজন লোককে দেখি। তাঁর মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বাইকটা কয়েক মিটার দূরে পড়েছিল। দেখেও কোনও লোক সাহায্যের জন্য এগোয়নি।'

পঙ্কজ জানান, এসব দেখে তিনি একজনকে ডেকে নেন। সেই ব্যক্তি বাইক ট্যাক্সির ড্রাইভার। তাঁরা একটি অটোকে দাঁড় করিয়ে সেখানে ওই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে তোলেন। একজন বসেন চালকের পাশের আসনে। অন্যজন রক্তাক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিয়ে পিছনের আসনে। তিনি ওই যুবকের রক্তপ্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন। পঙ্কজ মিস্ত্রি বলেন, 'আমরা কাছাকাছি একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে এই দুর্ঘটনার চিকিৎসার সুবিধা ছিল না। তাই আমরা ওই যুবককে পিএসআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে যেতে আরও একঘণ্টা লাগে।'

আরও পড়ুন- অক্টোবরে আচমকা বাড়ল জিএসটি সংগ্রহ, পিছনে কি কোনও বড় কেলেঙ্কারি?

রাত ১০টা ৩০ নাগাদ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর দেখতে পায়, আহত চলচ্চিত্র নির্মাতাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই চলচ্চিত্র নির্মাতার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ চুরি গিয়েছে। সম্ভবত একজন পথচারীই তা চুরি করেছে। পঙ্কজ মিস্ত্রিও পুলিশকে জানিয়েছেন, 'আমরা যখন হাসপাতালে ওঁনাকে নিয়ে যাই, তখনই কোনও মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ বা কিছু দেখতে পাইনি।'

Death Youth Cinema Road Accident
Advertisment